রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিগোষ্ঠী জড়িত আছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
Published : 23 Apr 2016, 01:01 PM
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়ার শালবাগানে হত্যাকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে একথা জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউলকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, “অতীতে যেভাবে ব্লগারদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে,একই কায়দায় অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যা করা হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে- হত্যাকাণ্ডে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত।”
অধ্যাপক রেজাউল আগে কখনও হুমকি পেয়েছিলেন কি না, তা কেউ জানাতে পারেননি। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এলাকায় একটি গানের স্কুল খোলার কাজ করছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন।
এই অধ্যাপককে মোটর সাইকেলে আসা দুই যুবক কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহদাত হোসেন।
গত বছর ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ছাড়াও বিদেশি ও যাজক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর কয়েকটিতে খুনিদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের নজির দেখা যায়।
বিদেশি ও যাজক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকারের বার্তা আসে। ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুনের পর বার্তা আসে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার নামে।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন,বাংলাদেশি জঙ্গিরাই এসব হত্যাকাণ্ডের পর বিভ্রান্তি ছড়াতে আইএস ও আল কায়দার নাম ব্যবহার করছে।
দুই বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পরও জঙ্গি সম্পৃক্ততার দিকেই ইঙ্গিত করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে তা না পাওয়ার কথাও আবার জানিয়েছিল তারা।
এদিকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে অধ্যাপক রেজাউলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত।
হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি বা মামলা বিষয়ে সন্ধ্যায় জরুরি সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.শহীদুল্লাহ্।
হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।