উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় রোববার ভোররাতে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ওইদিনই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় মামলা করেন গির্জার নৈশ প্রহরী প্রাণতোষ মণ্ডল।
গ্রেপ্তাররা হলেন কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত খোরশেদ মণ্ডলের ছেলে আবুল হেসেন (৩৫) ও পীরপুর গ্রামের মৃত উকিল হালসানার ছেলে হামিদুল ইসলাম।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি লিয়াকত হোসেন জানান, রোববার রাতে আবুল হোসেনকে এবং সোমবার রাতে হামিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন জানিয়ে এই দুজনকে আদালতে হাজির করা হবে।”
মামলার বরাত দিয়ে ওসি লিয়াকত আরও জানান, কার্পাসডাঙ্গায় খ্রিস্টান পল্লির ক্যাথলিক গির্জায় ১৫-২০ জনের ডাকাতদল নৈশ প্রহরী প্রাণতোষ মণ্ডলসহ গির্জার তিন সিস্টারকে পিটিয়ে জখম করে।
“তারা সিস্টারদের সোনার গহনা, নগদ টাকাসহ আনুমানিক ৩ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। পরে গির্জার ফাদার অরুণ হালসোনার রুমে ঢুকে তার একটি দোনালা বন্দুক নিয়ে যায়।”
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রাশিদুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছুফিউল্লাহ এবং তিনি নিজে (ওসি) ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান ওসি।
এছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি মার্টিন হিরোক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহরায় ও সহ-সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কুণ্ডুও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তারা ডাকাতিতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।