জাপানে বাঙালিদের উৎসবমুখর একটি দিন

বাঙালির উপস্থিতি মানেই উৎসব! প্রচলিত কথায় আছে, বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। তবে ব্যস্ত প্রবাস জীবনে তার প্রভাব কিছুটা হলেও কম। আর তা যদি হয় জাপানের মতো কর্মব্যস্ত দেশ তাহলে তো কথাই নেই।

ফেরদৌস আরা, জাপানের সেন্দাই থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 04:22 PM
Updated : 10 June 2015, 03:42 PM

তাই যে কয়েকটা দিন হয় উৎসবের উপলক্ষ্য সেদিনগুলোতে যেন বাঙালিরা নিজেদেরকে মাতিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে থাকে। সেরকমই একটি দিন ছিল ২৪ মে। এই দিন ছিল ৩০তম টুহুকু ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ফুড ফেস্টিভাল।

ভোজন রসিক হিসেবে বাঙালিতো আগে থেকেই খ্যাত। সেই খ্যাতি নিয়েই গতকাল  বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয় জাপানের প্রাবাসী বাংলাদেশিরা।

ত্রিশটিরও বেশি দেশের খাবারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের খিচুরি-মাংস আর চপের প্রাশংসা ছিল সবার মুখে মুখে। জাপানিদের মুখেও ছিল ‘ঐশি ঐশি’ রব যার অর্থ সুস্বাদু।

এছাড়াও বরাবরের মত ইরানের গ্রিল পরোটা, ইন্দোনেশিয়ার মাসসি, চাইনিজ হট পট, মেক্সিকোর পোলো পিবিল, ফিলিপাইনের বানানা কিউব, অস্ট্রিয়ার কাইসারস্মারটান ও জার্মানির স্নিটজেল ছিল উল্লেখযোগ্য।

শুধু খাবার নয়, বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন খেলা এবং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির ছোঁয়া তুলে ধরার জন্য ফ্যাশন শো ও অনান্য অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল টুহুকু ইউনিভার্সিটি ফরেন স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের এই মিলন মেলায়।

বাংলাদেশ এই অঙ্গনেও এগিয়ে ছিল বরাবরের মতই। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক রমন বিশ্বাস তার কন্ঠেই মাতিয়ে রেখেছিলেন জাপানের টুহুকু ইউনিভারসিটির সেন্দাই সিটির মঞ্চটি।

‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ গানের তালে শুধু বাঙালি নয়, গ্যালারি ছেড়ে মাঠে নেমে এসে নেচেছিল ছোট্ট একটা বিশ্ব। এভাবেই যেন যুগে যুগে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি স্বাক্ষর রেখে চলেছে বিশ্বের বুকে!

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com