এজেন্সিগুলোর সাথে দর কষাকষি শেষে দুই কিস্তিতে ‘মোয়াল্লেম ফি’ পরিশোধের সুবিধা দেওয়ায় ১৮ হাজার বাংলাদেশির হজ করা নিয়ে সঙ্কট কেটেছে।
Published : 31 Jul 2017, 09:23 PM
স্হানীয় সময় শনিবার রাতে মক্কায় হাজী সেবা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ এফ এম বোরহানুদ্দিন।
তিনি জানান, বৈঠকে রোববার থেকে সংশ্লিষ্ট ৯২ টি এজেন্সিকে মোয়াল্লেম নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মোয়াল্লেম সংকট নিরসনে মক্কার সাউথ এশিয়া হাজী সেবা সংস্থার সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন সংস্থাটির কর্মকর্তা, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ এফ এম বোরহানুদ্দিন, বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর হজ মাকসুদুর রহমান এবং কন্সাল হজ জহিরুল ইসলাম এবং হাবের নেতারা।
প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে হজযাত্রীদের জন্য তৃতীয় প্যাকেজ অর্থাৎ সি গ্রেডে ‘মোয়াল্লেম ফি’দেড় হাজার রিয়াল নির্ধারণ করা হয়।
কনসাল জেনারেল এ এফ বোরহানুদ্দিন বলেন, “এজেন্সিগুলো আর্থিক সংকটের কারণে ১ হাজার রিয়াল জমা দিয়েই হজযাত্রীদের আনতে পারবে এবং অবশিষ্ট পাঁচশ রিয়াল আগামী ৩০ জিলকদের মধ্যে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ‘মোয়াল্লেম ফি’ বাড়ানোর কারণে ২৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের আর্থিক অপারগতার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলো হজের জন্য নিযুক্ত বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো।
সৌদি আরব হজ মন্ত্রণালয় দুই মাস আগে বিভিন্ন গ্রেডের মোয়াল্লেমদের ফি বৃদ্ধি করে প্রথম এ গ্রেডে ৩৯৫০ রিয়াল, বি গ্রেডে ১৯০০ রিয়াল, সি গ্রেডে ১৫০০ রিয়াল ও ডি গ্রেডে ৭২০ রিয়াল নির্ধারণ করে।
যা গত বছর ডি গ্রেডের মোয়াল্লেম ফি ৫২০ রিয়াল করে ধার্য ছিল।
ওইদিনের সংবাদ সম্মেলনে সি গ্রেডে মোয়াল্লেম নিয়োগের ব্যাপারে নিজেদের আর্থিক অসঙ্গতির কথা জানায়। ফলে ১৮ হাজার বাংলাদেশির হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো।
এদিকে দুই দফায় ‘মোয়াল্লেম ফি’ দেওয়ার সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।