এসব এলাকায় চার লাখের বেশি বাংলাদেশিসহ প্রায় ২৮ লাখ আমেরিকানের বসবাস। এলাকাগুলো সড়ক, রেল যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাতিল হয়েছে কয়েক হাজার ফ্লাইট।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫৫ মাইল বেগে বয়ে যায় এ তুষার ঝড়। এতে ওই এলাকাগুলোতে এরইমধ্যে কয়েক ইঞ্চি বরফ জমেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনের তথ্য।
তুষার ঝড়ের কারণে সন্ধ্যায় বিশেষ সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্ক সিটি, নর্দার্ন নিউজার্সি, হাডসন ভ্যালি, ফিলাডেলফিয়া, কানেটিকাটের উপকূলীয় এলাকা এবং লং আইল্যান্ডের বাসিন্দারা পড়েছে এই শীতকালীন ঝড়ের কবলে।
নিউ ইয়র্ক শহর ও এর আশপাশের সব পাবলিক স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকজনকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো।
নিউ জার্সি, লং আইল্যান্ড ও ফিলাডেলফিয়ায় পাবলিক স্কুল ছাড়াও অনেক সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরে পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণায় বাতিল হয়েছে সহস্রাধিক ফ্লাইট।
সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে। বাস, রেল চলাচলেও স্থবিরতা এসেছে।
নিউ ইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজোনপার্ক, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, পার্কচেস্টার, স্টার্লিং এভিনিউ, ওয়েস্টচেস্টার, নিউ জার্সি ও প্যাটারসনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবগুলোতেই তালা ঝুলছে। রেস্টুরেন্টগুলো খোলা থাকলেও নেই ক্রেতার দেখা।
এসব এলাকায় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে। রোড আইল্যান্ড ও লং আইল্যান্ডে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমবে বলে বুলেটিনে জানানো হচ্ছে।