স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের একটি রেস্তোরাঁয় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা বিএনপির নেতা তৌহিদুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর শোক-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকন বলেন, "‘বাংলাদেশে চলমান অসহনীয় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে সৃষ্ট ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে যে আন্দোলন শুরু হবে,সেটির নেতৃত্বের জন্যে কোন নেতার প্রয়োজন হবে না। জনগণই সে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখলকারিদের পতন ঘটাবে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ অপশাসনের কবলে পড়েছে,গণতন্ত্র আজ বিপন্ন,অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই গুম,খুন অথবা মামলায় পড়তে হচ্ছে বিধায় অনেকেই গা বাঁচিয়ে চলছেন।
"মাঠের কর্মীরা এভাবে হতাশ হয়েছেন। এটি চরম সত্য। তবে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে কেউই ক্ষমতা স্থায়ী করতে পারেনি। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারও তা পাবে না।"
খোকন বলেন, "ভোট ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হওয়া ব্যক্তিরা পার্লামেন্টের স্পিকার হন-এমন নজির গণতান্ত্রিক বিশ্বে নেই। এছাড়া যে পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন,সেই পার্লামেন্টের গুরুত্ব কতটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের ধাপ্পাবাজি আর চাপাবাজি কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ দ্বারাই সম্ভব।"
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে জনসমর্থনের দিক থেকে একটি দেউলিয়া রাজনৈতিক দল। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ২০টি আসনও পাবে না। অপরদিকে, বিএনপি কমপক্ষে ২০০ আসন পাবে। এটি হলফ করে বলতে পারি।"
তিনি বলেন,"বিএনপি এর আগে দুবার চরম সংকটে পড়েছিল। একবার এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর,আরেকবার ২০০৭ সালে মইন-ফখরুদ্দিনের আমলে।"
তৌহিদ স্মৃতি সংসদের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু এবং মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীমউদ্দিন,যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন এবং ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ জে এম হোসেন প্রমুখ।
বক্তাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠনে কেন্দ্রের 'কালক্ষেপণের' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তারা বলেন, কমিটি না থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির পক্ষে লবি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ জে এম হোসেন বলেন, "ক্রসফায়ার এবং গুমের শিকার হওয়া বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর তালিকা তৈরির পর ওইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা পরিচালনায় তহবিল দেওয়াতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা।"
সভায় বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসী বিএনপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকরাও উপিস্থিত ছিলেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |