মঙ্গলবার কম্প্ট্রলার দপ্তরের বার্ষিক বিবরণীর বরাত দিয়ে কম্প্ট্রলার স্কট স্ট্রিঙ্গার জানান, রিপাবলিকান শিবির শত শত অভিবাসীর দোহাই দিলেও নিউ ইয়র্কে মাত্র ৫ লাখ অভিবাসীর ‘কাগজপত্র নেই’।
এ বৈধ-অবৈধ অভিবাসীদের হাত ধরেই নিউ ইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্রিঙ্গার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গড়ছে অভিবাসীরা। প্রযুক্তি, পুঁজি, বিনোদন ও চিকিৎসার মত সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরেই অভিবাসীরা অপুরণীয় ভূমিকা রাখছেন। বিনা বাক্য ব্যয়ে তারা শ্রম দিচ্ছেন, ঘটাচ্ছেন মেধার বিনিয়োগ।
“অভিবাসীদের রক্ত-ঘামে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব দিক বিবেচনা করে সকলেরই উচিত অভিবাসীদের মর্যাদা ও অধিকারের প্রশ্নে অপোষহীন থাকা।”
মার্কিন বিধান অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসনের তৃতীয় শীর্ষ পদ প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা বা কম্প্ট্রলারের। মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিসা জেমসের মত স্ট্রিঙ্গারও জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিরও কট্টরবিরোধী এ ডেমোক্র্যাট।
নির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্প ও তার পরামর্শদাতারা অভিবাসী ‘ঠেকাতে’ যেসব উদ্যোগের কথা বলছেন, তা দেশের সংবিধান, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন স্ট্রিঙ্গার।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে থেকে আসা অভিবাসীরা নিউ ইয়র্কে অন্তত ৮৩ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে কমবেশি ১০ বিলিয়ন কর পায় শহর কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্কে যত বাড়ির মালিক আছেন তাদের ৪৬ শতাংশের জন্ম বিদেশে বলেও জানান সিটি কম্প্ট্রলার।
বৈধভাবে ছাড়াও নিউ ইয়র্কে ৫ লাখের মত ‘কাগজপত্রহীন’ অভিবাসী আছে; এরাও শহরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন স্ট্রিঙ্গার।
“অভিবাসীরা আমাদের অর্থনীততে বিরাট অবদান রাখছেন; তাদের গণহারে ফেরত পাঠানো বা নিবন্ধন আটকানোর যত আলাপ শোনা যাচ্ছে তার সবই নিউ ইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য পরিপন্থী,” বলেন তিনি।