এক বছর বিভিন্ন কোম্পানিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। অবশেষে বরিশালের এক বন্ধুর পরামর্শে ৩৪ বছর বয়সী ইমরান কাজ শুরু করেন ঘড়ি মেকার হিসেবে।
কাতারের রাজধানী দোহায় জেদিদ ঢাকা রেস্তোরাঁর সামনে ঘড়ি মেকারের ছোট একটি দোকান নিয়ে এখন ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিমাসে আয় হয় ৫০ হাজার টাকারও বেশি। ঘড়ি মেকারের কাজ ছাড়াও ইমরানের রয়েছে হরেক রকমের মোবাইল কার্ড, মোবাইল ডলার কার্ড ও বিকাশের ব্যবসা।
ইমরান হোসেন বলেন, “এই দেশে কাম করতে আইসি। ট্যাকা কামাইয়া দেশে পাডাইতে আইসি। বইস্যা থাকার সময় নাই, আপনিও সাংবাদিকগিরি বাদ দিয়া ট্যাকা কামান। ট্যাকা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের দাম নাই।”
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতার। এটি পারস্য উপসাগরের ছোট দেশ, গরম ও মরুভূমির দেশ। মাথাপিছু আয়ে পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশও কাতার। দেশটিতে কর্মরত আছেন তিন লাখের বেশি বাংলাদেশি। এদের অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
ইমরান বলেন, “পরিবার পরিজন ছাইরা প্রবাসে অমানুষিক পরিশ্রম করা শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম যন্ত্রণার। এইডা আগে জানতাম না, প্রবাসে আইস্যা জানছি। প্রবাসীরা পরিবারের জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করতাসে এইডা অনুভব করার সময় য্যান কারও নাই। দেশ থেকে শুধু কয়- ট্যাকা চাই, বিদেশ থাইক্যা বেশি বেশি করে ট্যাকা পাডাও।”