বুধবার ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের সংসদে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ৩ শতাংশ কর আরোপের একটি নতুন বিল অনুমোদন হয়।
কর্মসংস্থান আইন সংশোধনীতে নিয়োগকারীদের স্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা জমা করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়। পাশাপাশি বিদেশে পাঠানো অর্থের ৩ শতাংশ কর আদায় করা হবে বলে আইন করা হয়।
সংসদে সরকার দলীয় ‘মালদ্বীপিয়ান পিপলস পার্টি’র ৪১ জন সাংসদ কর আরোপের পক্ষে ভোট দেন এবং প্রধান বিরোধী দল ‘মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি’র ২৫ জন সাংসদ এর বিরুদ্ধে ভোট দেন। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিনের স্বাক্ষরের তিন মাস পর আইনটি কার্যকর হবে। মানবাধিকার কর্মীরা এই কর আরোপের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন এটি বাস্তবায়িত হলে দরিদ্ররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩২ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক লক্ষ্মী রানী বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে সামান্য বেতন পাই। তার থেকে কর আদায় আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের শামিল।”
প্রবাসী বাংলাদেশি সোরহার স্থানীয় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি বলেন, “আমি বেতন পাই ২০০ ডলার। এই দেশীয় রুফিয়া মুদ্রায় কালো বাজারে ব্যাংক রেট থেকে দেড় টাকা বেশি দিয়ে ডলার কিনতে হয়। তাহলে সরকারকে ৬ ডলার ট্যাক্স ও ব্যাংক চার্জ ৪ ডলার দিতে হবে! এটা কোন ধরনের নির্যাতন?”
সাবেক মানবাধিকার কর্মী আহমেদ থোলাল এই কর আরোপকে বৈষম্যমূলক বলেছেন।
বাংলাদেশি বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর মানি ট্যান্সফার মালদ্বীপ শাখার রেমিটেন্স কর্মকর্তা মো. জাফর সাদিক বলেছেন, তারা এই বিষয়ে মালদ্বীপের মানিটারি অথরিটি (এমএমএ) থেকে এখনো কোন বার্তা পাননি।