৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বছর পূর্তির দিনে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার ৪৫ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
Published : 27 May 2015, 11:48 PM
বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এদের মধ্যে নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা নেই।
বুধবার মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে ৩৫ জন গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বাকি ১০ জন মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালত থেকে জামিন পান।
চট্টগ্রামের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৫ জানুয়ারির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আসামিদের মধ্যে ৪৫ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
“তারা আগেই জামিন পেয়েছেন। তাদের বিষয়ে থানা অনাপত্তি দিয়েছে। মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ নেই।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে গত সপ্তাহে ৩৫ জন জামিন পান। চট্টগ্রামের আদালত থেকে বাকি যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের বয়স খুবই কম।
“মহানগর হাকিম নওরীন আক্তার কাকনের আদালতে আজও (বুধবার) জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ২৮ জনের জন্য জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়।”
গত ৫ জানুয়ারি বিকালে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
সমাবেশ চলাকালে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে সংলগ্ন কাজীর দেউড়ি এলাকায় শুরু হয় হাতবোমা বিস্ফোরণ ও ভাংচুর।
এরপর নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়।
ওই এলাকা ছাড়িয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে লালখান বাজার, ওয়াসার মোড়, চট্টেশ্বরী সড়ক এলাকায়। এসব এলাকায় বেশ কিছু যানবাহন ও স্থাপনায় ভাংচুর চালায় সংঘর্ষকারীরা।
ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতিসহ বিএনপি-জামায়াতের ২৯৭ নেতাকর্মী আটক করে পুলিশ।
নগরীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।