সোমবার ভোর ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত দুই পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার জাহাঙ্গীর আলম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি (খালেদা) আইনগতভাবে কোনো প্রোটেকশন পাওয়ার কথা নয়।
“যেহেতু তিনি একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেহেতু ব্যক্তিগত ঝুঁকি বিবেচনা করে আমারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকি। আবার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তা তুলে নেই।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর এখন রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী পুলিশ পাওয়ার মতো দায়িত্বশীল কোনো অবস্থানে নেই খালেদা জিয়া।
তবে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী ‘চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)’ নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন ডেকে গত জানুয়ারিতে কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার পর এক পর্যায়ে খালেদার বাড়ি থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে গত ৫ এপ্রিল তিনি বাড়ি ফেরার পর পুলিশ পাহারা ফিরে পেয়েছিলেন।
গত শনি ও রোববার দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর সময়ও পুলিশ ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে।
এর মধ্যে রোববার উত্তরায় জনসংযোগের সময় সরকার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন খালেদা। তখন পরিস্থিতি পুলিশকে সামাল দিতে হয়েছিল।