একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে না যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেছেন একজন ভাষা সৈনিক।
Published : 21 Feb 2015, 09:19 PM
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “শীর্ষনেতারা যদি রাষ্ট্রের মূল জায়গাটিতে না যান, তাহলে তো ভাষা আন্দোলনকে অস্বীকার করার সামিল হয়। এর মানে হচ্ছে ভাষা আন্দোলন তাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে না।”
শহীদ মিনারে না গেলেও খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়েছেন বলে তার প্রেস সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আহমদ রফিক বলেন, “জামায়াত ২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানকে হিন্দুয়ানি বলে থাকে। তারা এটা পালন করে না। বিএনপি পুরোপুরি সেই গোত্রের নয় বলে মনে করতাম।”
বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী শহীদ মিনারে যাওয়াকে অনৈসলামিক বলে মত দিয়ে থাকে। দিনটিতে বরাবরই তারা মিলাদ মাহফিল পালন করে থাকে।
রাজনীতিতে আসার পর প্রথমবারের মতো ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা সকালে শহীদ বেদীতে ফুল দেন।
আহমদ রফিক আরো বলেন, “বিএনপি সব সময় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলতো, যার মধ্যে ২১ শে ফেব্রুয়ারিসহ অন্যান্য দিবসের অস্তিত্ব ছিল। এটা তাদের মূল চেতনার জন্য মর্যাদাহানিকর। সংকীর্ণ রাজনীতির পরিচায়ক। এটা ব্যক্তি স্বার্থের রাজনীতি।
“ভাষা আন্দোলন তো একলা আওয়ামী লীগের না। সেই সময় ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ ছাড়া অন্যান্য দলতো এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিল। একুশে ফেব্রুয়ারি তো বাঙালি জাতির, সবার।
“জিয়াউর রহমান এমন কি খালেদা জিয়াকেও বহুবার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলতে শুনেছি। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সুচনা হয়েছে বলে বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের বলতে শুনেছি।
“এখন যদি এটাকেও অস্বীকার করে তাহলে তো নিজেদের স্বত্ত্বাকে অস্বীকার করা হয়।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ছিলেন শুরু থেকেই। প্রাবন্ধিক ও কবি আহমদ রফিক প্রায় তিরিশটির মতো গ্রন্থের প্রণেতা।