চলমান নাশকতার জন্য অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা জিয়াকে দায়ী করে মঈনুদ্দীন খান বাদল বলেছেন, এ পদক্ষেপ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ফাঁস হওয়া টেলি কথোপকথনই ‘যথেষ্ট’।
Published : 03 Feb 2015, 09:31 PM
চার বছর আগে ঢাকায় গোলযোগের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের কয়েকজন নেতার টেলিকথোপকথন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার একদিনের মাথায় সংসদে একথা বলেন জাসদের কার্যকরি সভাপতি।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে নাশকতায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যুর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে দায়ী করে তার গ্রেপ্তার দাবি করে আসছিলেন বাদল।
সংসদে মঙ্গলবার সেই দাবি পুনরায় তুলে তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে উনি যে অবিচার, অন্যায় করছেন, তাতে তিনি বাইরে থাকতে পারেন না। টেলিফোন আলাপই মামলার জন্য যথেষ্ট। সোজা কথায় কাশিমপুর।”
নাশকতার দুটি ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশ খালেদাকে হুকুমের আসামি করে মামলা করেছে। গ্রেপ্তারের দাবির বিষয়ে পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বাদল বলেন, “তাহলে তার নেতাকে কেন নিচ্ছেন না? উনি কোন কুইন ভিক্টোরিয়া। সংসদ তো তাকে ইম্যুনিটি (দায়মুক্তি) দেয় নাই।”
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রতিদিন আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া উচিত। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”
নাশকতা ঠেকাতে তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “একটা হাত পেছনে রেখে সরকারকে লাঠি ঘোরাতে হয়, সেটা হলো আইনের হাত। আর সন্ত্রাসী দুই হাতে লাঠি ঘোরায়।”
নাশকতার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মতিয়া বলেন, “আপনি বললেন বোমা-পেট্রোল আওয়ামী লীগ মারছে। পরদিনই বোমা বানাতে গিয়ে লালবাগে ছাত্রদলের সভাপতি বাপ্পীর হাতের কব্জি উড়ে গেল।”
হাছান মাহমুদ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের সংক্ষিপ্ত বিচারে বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি করেন।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আলোচনা না হওয়ার জন্য আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে শোক জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির আচরণকে দায়ী করেন।
“আপনি (খালেদা জিয়া) ওই দিন দরজা বন্ধ করে শান্তির দরজা চিরতরে বন্ধ করেছেন।”