নাশকতার জন্য খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘হুকুমের আসামি’ করা যায়।
Published : 21 Jan 2015, 04:50 PM
চলমান অবরোধে নাশকতায় প্রাণহানির জন্য বিএনপি নেত্রীর বিচার চেয়ে বুধবার এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাচাই করে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সরকার প্রধান।
একদিন আগেই সংসদে তিনি বলেছিলেন, ‘খুনি’ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে। তার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম জানতে চান- “চলমান হরতাল-অবরোধে ৩০টি মানুষ হত্যা করা হয়েছে, ৬০০ এর বেশি যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের হুকুমে এসব ঘটেছে। হুকুমের আসামি হিসেবে খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না?”
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বড় প্রশ্ন কেন খালেদা জিয়া মানুষ হত্যায় নেমেছেন? দিনমজুর, খেটে খাওয়া, ট্রেন-বাস যাত্রী সাধারণ মানুষের ওপর কেন এ আক্রমণ, তা আমার বোধগম্য নয়। উনি ঘরবাড়ি ছেড়ে অফিসে বসে হুকুম দিচ্ছেন। তার হুকুমেই এভাবেই মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।
“কাজেই হুকুমের আসামি হিসেবে তাকে আইনের আওতায় আনা, এটা হচ্ছে যুক্তিযুক্ত। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে এটা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাচাই করে দেখবে এবং তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”
বিরোধী জোট আন্দোলনে জনসমর্থন না পেয়ে নাশকতার পথ ধরেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
“আমরা পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার নিয়োগ করে এসব সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা করেছি।”
সরকার প্রধান জানান, পুলিশ-বিজিবির বিশেষ পাহারায় বাস ও ট্রাক চালানো হচ্ছে, রেললাইন পাহারা দেওয়ার জন্য আনসার নিয়োগসহ নাশকতা মোকাবেলার সর্বাত্মক চেষ্টা সরকার করছে।
নাশকতা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
“আমি দেশপ্রেমিক জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, এ সন্ত্রাসীদেরকে যেখানে পাবেন ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আগাম তথ্য সরবরাহ করে জনগণের জানমাল-নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন।”
সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।