অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার খবরটি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ।
Published : 10 Jan 2015, 07:04 PM
বিএনপির দাবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সে বিষয়ে জানতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক সুবীর ভৌমিক টেলিফোন করলে তিনি বলেন, “আরে ভাই, ম্যায়নে তো উনহে কল নেহি কিয়া, ইয়ে সব বাকোয়াজ খবর কিউ ছাপতে হ্যায়। (আমি তো উনাকে ফোন করিনি, এসব ভুয়া খবর কেন আসে)।”
গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন যে বুধবার রাতে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে তার খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন অমিত শাহ।
এর সত্যতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা প্রশ্ন তোলার পর শনিবার বাংলাদেশের দুটি টেলিভিশন চ্যানেল অমিত শাহকে টেলিফোন করলে তিনি টেলিফোন করার বিষয়টি উড়িয়ে দেন।
“দিজ ইস টোটালি রিউমার,” চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে বলেন অমিত শাহ। একাত্তর টেলিভিশনকে তিনি বলেন, “দিস ইজ এ ফেক নিউজ।”
আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তাদের দাবিতে অনড় থেকে বলে আসছে, অমিত শাহ ফোন করেছিলেন এবং তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
অমিত শাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যায়নে দুসরে বাংলাদেশ মিডিয়াকো ভি ইয়ে বোলা হ্যায়, বাত করেঙ্গা তো কিউ ডিনাই করেঙ্গে, পার আগার নেহি কিয়া তো খবর নেহি আনা চাহিয়ে। (আমি বাংলাদেশের অন্য সংবাদ মাধ্যমকেও এটাই বলেছি, কথা বললে অস্বীকার করব কেন, কিন্তু যখন কথাই বলিনি, তখন তো খবর হওয়া ঠিক নয়।)”
অমিত শাহর কথিত টেলিফোন নিয়ে আলোচনার মধ্যে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নেতা খবরটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র যশদীপ ভৌমিক বলেন, “অমিত শাহজি কেন ফোন করতে যাবেন? বাংলাদেশের যা ঘটছে তা তো একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
এদিকে অমিত শাহের টেলিফোন নিয়ে আলোচনার মধ্যে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়েছিল যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্রে, যা ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রটি তাদের প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের এক সহকারী তাদের এই বিবৃতিটি পাঠিয়েছিলেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যরা বিবৃতি পাঠিয়ে খালেদাকে নিয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়ার খবর অস্বীকার করেন।