বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন,, “সামনে আন্দোলন আসছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা এবার গুলি বুকে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। কত গুলি সরকারের আছে- এবার আমরা দেখব। গুলি শেষ হয়ে গেলে সরকার কী করবে? দেশের মানুষ আপনাদের ছাড়বে না
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এভাবে গুলিবর্ষণ করে আন্দোলন দমানো যাবে না।”
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, “যা করেছেন, করেছেন। এবার দমন-নির্যাতন বন্ধ করুন। দেশের মানুষ দয়ালু। সব মাফ করে দেবে। দয়া করে স্বৈরাচারের খাতায় নিজেদের নাম লিখাবেন না।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘হুঙ্কার’ দিলে সরকার পতন হবে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এক হুঙ্কারে সরকারের তখতে তাউস নড়বড়ে হয়ে যাবে। আপনারা টিকে থাকতে পারবেন না।”
মাওলানা ভাসানীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি অকৃতজ্ঞ দল। ভাসানীর জন্ম না হলে অনেক নেতার জন্ম হত না। আজ ভাসানীর নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে তুলে দেয়া হয়েছে, একইভাবে জিয়াউর রহমানের নামও নেই।
“পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগারে বন্দী হলে মাওলানা ভাসানীই জনগণকে মাঠে নামিয়েছেন।”
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, সাবেক ছাত্র নেতা নাজমুল হক নান্নু, বি্এনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনায়ার হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ছড়াকার আবু সালেহ, প্রয়াত রাজনীতিক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমান বক্তব্য দেন।