তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেকের বক্তব্য ‘মিথ্যাচার এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ক্রীড়ানক হিসাবে পলাতক আসামি তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে চায়।”
গত বুধবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকিস্তানি নাগরিক’ আখ্যায়িত করে দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করার দাবি তোলেন তারেক।
সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেককে ‘ইঁচড়ে পাকা, নাবালক ও কাপুরুষ’ আখ্যায়িত করে হাছান মাহমুদ বলেন, “সাহস থাকলে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে দেশে ফিরে কথা বলুক। আইনের মুখোমুখি হোক।”
তিনি বলেন, “আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বিকৃত মানসিকতার অপরাধী এই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন দুর্নীতির মামলা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পরের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন তারেক।
সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
“পলাতক আসামি তারেক রহমান আলোচনায় থাকতেই বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও মিথ্যাচার করছে। তার বক্তব্যে ইতিহাস সম্পর্কে দেশের মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমরা তার বক্তব্যের জবাব দিচ্ছি।”
অন্যদের মধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।