লতিফকে গ্রেপ্তারের দাবিতে হরতালে জামায়াতের সমর্থন

হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ডাকা রোববারের হরতালে সমর্থন দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2014, 03:03 PM
Updated : 25 Oct 2014, 03:16 PM

কয়েকটি ইসলামী দলের ডাকা কর্মসূচির পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, তারা এই হরতালে ‘নৈতিক সমর্থন’ দিচ্ছে।

“সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ আগামীকাল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা যে হরতাল ডেকেছে, তার প্রতি দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। ইসলামবিরোধী লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।”

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে হজ নিয়ে মন্তব্যের পর দেশে সমালোচনার ঝড়েরর  মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী ভারতে যান। এর মধ্যেই মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

বিদেশে অবস্থারত লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার সারাদেশে হরতালের ঘোষণা দেয় ‘সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ’।

এই মোর্চার মহাসচিব মোহাম্মদ জাফরউল্লাহ খান বলেন, তারা ২২ অক্টোবরের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় এই হরতাল ডাকা হয়েছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি হজ ও তাবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। এতে শ্রমশক্তি ও অর্থের অপচয় হয়।

তার ওই বক্তব্য ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাইক্রোব্লগগুলোতে আলোচনার ঝড় তোলে। বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সংগঠন এ নিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকিও দেয়।

এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কয়েক ডজন। কয়েকটি মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

কয়েকটি ইসলামী দলের হুমকির মধ্যেই গত ১২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি সরকার।

ওই দিন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। প্রক্রিয়া সেরে এরপর শুক্রবার দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে।

বিজিবি মোতায়েন

হরতালের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সহায়তা করতে রাজধানীতে নেমেছে বিজিবি সমস্যরা।

“পুলিশের কাজে সহায়তা করতে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে,” বলেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহসীন রেজা।

এর আগেও বিভিন্ন হরতালে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।