ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
তার আইনজীবী রওশন আরা শিকদার ডেইজি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া উপলক্ষে গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ‘কটূক্তি’ করেন।
“খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।”
আর্জিতে আরো বলা হয়, “তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।”
ওই বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ধারায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টার জন্য দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আর ২৯৫ (ক) ধারায় অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে বিদ্বেষমূলক কোনো কাজ করলে দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
এবি সিদ্দিকী তার মামলায় চারজনকে সাক্ষী করেছেন।