যশোরে মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
Published : 01 Oct 2014, 09:00 PM
এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত চার সাংবাদিকও পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। তাছাড়া একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরাও ভাঙচুর করেছে পুলিশ।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহরের মুজিব সড়কের প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- যশোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি সোনালী বেগম, পুলিশ কনস্টেবল মতিউর রহমান, পথচারী উপশহর ‘সি’ ব্লক এলাকার কামাল এবং পুলেরহাট এলাকার রঞ্জু নামে এক যুবক।
এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকরা হলেন, যশোর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এসএম হাবিবুল্লাহ, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি এসএম সোহেল, চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি আকরামুজ্জামান এবং ৭১ টিভির প্রতিনিধি এসএম ফরহাদ।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা জানান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য- প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর হজ নিয়ে মন্তব্যে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ এর প্রতিবাদে বিকেলে ৩টায় শহরের চৌরাস্তা মোড়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল।
কিন্তু পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। এরপর তারা আসেন যশোর প্রেসক্লাবের সামনে। সেখানে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
শামসুল হুদা জানান, এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ ৮ জনকে আটক করে।
এর প্রতিবাদে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ ও মিছিল করলে পুলিশ গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আটক অন্যরা হলেন- জেলা ওলামা দলের আহবায়ক আওলাদ হোসেন, সদস্যসচিব মোশারফ হোসেন, বারন্দীপাড়া আমিনিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র মোস্তাইন বিল্লাহ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন সাব্বির হোসেন, ব্যবসায়ী মাসুম হোসেন।
পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মী ও পথচারীরা প্রেসক্লাব চত্বরে ঢুকে পড়লে সেখানেও লাঠিচার্জ করা হয়। এসময় সাংবাদিকরা আহত হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, "কতিপয় ব্যক্তি মুজিব সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি করে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।"
কোতয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবুসহ কয়েকজনকে আটকের কথা স্বীকার করেছেন।