‘চলছে আওয়ামী শাসনের বন্য উৎসব’

গুম-খুনের অপরাধের ‘অপকর্ম’ উন্মোচিত হওয়ার ভয়ে সরকার মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2014, 07:22 AM
Updated : 30 August 2014, 07:22 AM

শনিবার সকলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।

পাশাপাশি আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে একই কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “অবৈধ সরকার বিরুদ্ধমত দমন, বিরোধী দল শূন্যকরণ ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণের জন্য রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এক বিভৎস হাতিয়ার হিসেবে গুমকে বেছে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই গুম এখন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

৩০ আগস্ট বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গুম দিবস। ইংরেজিতে এই দিবসের পুরো নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ অর্থাৎ গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের আন্তর্জাতিক দিবস।

সাধারণ পরিষদ ২০১১ সালে এই দিবসটি পালনের জন্য সব দেশকে আহ্বান জানায়।

ফখরুল বলেন, “সরকার মনে করছে, জোটকে এই দিবসটি পালন করতে দিলে তাদের বিভৎস স্বরূপটি বিশ্ববাসীর কাছে আরো বেশি প্রকাশ হয়ে পড়বে। তাই পুলিশ অনুমতি দেয়নি।”

গত ২৪ আগস্ট ২০ দলীয় জোট ‘আন্তর্জাতিক গুম দিবসে’ রাজধানীসহ দেশের মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

‘সংঘাত এড়াতে’ একই কর্মসূচি আগামী ২ সেপ্টেম্বর পালন করা হবে বরেও জানান ফখরুল।

তিনি দাবি করেন, “গত এক বছরে বিএনপির ৩১০ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ জানুয়ারি থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত এক বছরে  ২৫ জন গুম হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় বসার পর থেকে এ পর্যন্ত আমাদের দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীসহ গুম হয়েছেন ৩২ জন। যাদের আর কোনো সন্ধান মেলেনি।”

মানবন্ধন কর্মসূচি করতে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ ফখরুল বলেন, “রাজধানীতে শাসক দলের কোনো কর্মসূচি চললে অন্যকোনো দলকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয় না। এটাই এখন সরকারের নীতি।

“দলীয় লোকদের দিয়ে সাজানোর কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শাসক দলের অঙ্গসংগঠনের পরিণত হয়েছে। আইনের শাসন ধসে গিয়ে দেশে এখন আওয়ামী শাসনের বন্য উৎসব চলছে।”

সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, এনডিপির আলমগীর মজুমদার, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবুল কাশেম, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএলর সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,  কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান,জমিয়তের উলামে ইসলামের মাওলানা রেজাউল করীম, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।