গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। সে অনুযায়ী দলগুলোর ২০১৩ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
কিন্তু ওই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রধান দলগুলোর আর্থিক হিসাব কমিশনের হাতে আসেনি। নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে হিসাব দিয়েছে ২৮টি দল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের হিসাব দেয়ার জন্য ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছে।
এছাড়া বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টি ৩০ অগাস্ট এবং গত নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবের একান্ত সচিব মঈনউদ্দিন খান জানান, সাম্যবাদী দল, গণফোরামসহ আরো কয়েকটি দলের কাছ থেকে তারা সময়ের আবেদন পেয়েছেন।
এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে গতবারের মতো এবারো হিসাব দেয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হতে পারে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, “হিসাব দেয়ার জন্য এখনো কয়েকদিন সময় রয়েছে। যারা নির্দিষ্ট সময়ে দিতে পারবে না তাদের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ‘অডিট রিপোর্ট’ দেয়ার এই নিয়ম চালু হয়। তবে প্রতিবারই দলগুলোর আবেদনে সময় বাড়ানো হয়েছে।
পরপর ৩ বছর কোনো দল এ হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করার বিধান রয়েছে।