রোববার বিকালে নিউ ইয়র্কে পৌঁছার পর ‘দাদাভাই’ হিসেবে পরিচিত জাসদের এই তাত্ত্বিক গুরুর সঙ্গে ওই ঘরোয়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি ও বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রবাসী এক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন আহমেদ শামীমের বাসায় এই ঘরোয়া সভায় ছিলেন- ঢাকা মহানগর বিএনপির সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম, কিশোরগঞ্জের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন, যুক্তরাষ্ট্র জেএসডির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর তসলিমউদ্দিন খান, উপদেষ্টা আহসান মাসুদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন।
সিরাজুল আলম খান বলেন, “বাংলাদেশ এখন আবর্তিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। এর বাইরে একটি শক্তির উত্থান প্রয়োজন।
“কারণ বাংলাদেশের যুবসমাজ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি সচেতন এবং নিজেদের ভবিষ্যত সুরক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর।”
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী জাসদের ‘পর্দার অন্তরালের’ এই শীর্ষ নেতা মনে করেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলায় দেশের স্বার্থকে ‘জলাঞ্জলি’ দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই বাংলাদেশকে এগোতে হবে।”
বিকালে সিরাজুল আলম খান জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছলে জেএসডির প্রবাসী নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। চিকিৎসার জন্যে প্রতি বছরই এসময় তিনি নিউ ইয়র্কে আসেন।
২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন জেএসডি নেতারা।