নির্বাচনের সময়ের ‘ত্রুটি’ কাটিয়ে আন্দোলন ‘চাঙ্গা’ করতে ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি, আহ্বায়ক হিসাবে যার নেতৃত্বে থাকছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
Published : 18 Jul 2014, 10:23 PM
৫২ সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।
শুক্রবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটি ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি চার সদস্যের উপদেষ্টামণ্ডলির নামও ঘোষণা করেন তিনি।
এরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিদায়ী মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম।
কমিটিতে ছয়জন যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন। এরা হলেন- বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, দলের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আবুল বাশার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দী নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ কাইয়ুম ও সহ তথ্য-গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ খান খোকন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “ঢাকা মহানগর কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এতো দিন আহ্বায়ক কমিটি ছিল। এই কমিটি বিলুপ্ত করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসনের পরামর্শক্রমে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।”
নতুন আহ্বায়ক কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করে মহানগরের সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।
২০১১ সালে ১৪ মে ঢাকার সাবেক মেয়র ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে মহানগরের সর্বশেষ কমিটি করে বিএনপি। ওই কমিটি ছিলো ১৯ সদস্যের।
এরপর ছয় মাসের মধ্যে সর্বস্তরের কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও তা আর হয়নি।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপি লাগাতার কর্মসূচি দিলেও আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর খোকা নেতৃত্বাধীন মহানগর শাখা নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন ওঠে। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।
এরপর গত ১২ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর শাখার আহ্বায়কের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন সাদেক হোসেন খোকা।
নির্বাচনের আগে রাজধানীতে বিএনপির আন্দোলন কৌশলে ‘ক্রুটি ছিল’স্বীকার করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও গত বুধবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বলেন, শিগগিরই ঢাকা মহানগরে দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সাদেক হোসেন খোকা গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগের ভুগছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এ খালেক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, সহ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, আবদুল লতিফ (কলাবাগান), আবদুল মজিদ (রমনা), আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার (তেজগাঁও), শামসুল হুদা (সবুজ বাগ), সাজ্জাদ জহির (শাহজাহানপুর), একরামুল হোসেন (শাহজাহানপুর), ইউনুস মৃধা (খিলগাঁও), মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু (মিরপুর), সাদেক আহমেদ (জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল), আলী আজগর মাতব্বর (কাফরুল), নিতাই চন্দ্র ঘোষ( সূত্রাপুর), আহসান উল্লাহ হাসান (পল্লবী), বোরহানুজ্জামান ওমর (পল্টন), হারুন অর রশীদ হারুন (মতিঝিল), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (কলাবাগান), গোলাম হোসেন (সবুজবাগ), তানভীর আদেল বাবু(পল্টন), আবুল হাসান তালুকদার ননী(শাহবাগ), আবু মোতালিব (চকবাজার), আলী ইমাম আসাদ (পল্লবী), আবদুল মতিন (মোহাম্মদপুর), আবদুস সামাদ (কোতয়ালি), হাজী আলতাফ হোসেন (লালবাগ), ফরিদ আহমেদ ফরিদ (দয়াগঞ্জ), হাজী আনোয়ার পারভেজ বাদল (চকবাজার), আখতার হোসেন (খিলক্ষেত), নবী উল্লাহ নবী, হাজী মীর হোসেন মীরু, ফখরুল ইসলাম ফরু( রামপুরা), মিসেস ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি ( শাহ আলী থানা), তানভীর আহমেদ রবীন (কদমতলী), শেখ রবিউল আলম (ধানমন্ডি), মো. কফিল (উত্তরা-পূর্ব), আরিফুর রহমান নাদিম (আরমানিটোলা), মো. জাফরুল ( বংশাল) ও এস এম জিলানী।