নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখা জাতীয় পার্টির জন্য ৬০টি আসন রেখেই দশম সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
Published : 12 Dec 2013, 12:33 AM
এর আগে ১৪ দলের কয়েক দফা বৈঠকের পর বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ এই তালিকা চূড়ান্ত করেছে বলে দলটির নীতি-নির্ধারকদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মতদ্বন্দ্বে বিএনপির ভোট বয়কটের মধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করল ক্ষমতাসীন দল।
সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য রেখে ২২৯টি আসন। জাতীয় পার্টির জন্য ৬০টি ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টিকে চারটি, জাসদকে চারটি, তরিকত ফেডারেশনকে দুটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি-মঞ্জু) একটি আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
জাসদকে ছাড়া হচ্ছে কুষ্টিয়া-২, চট্টগ্রাম-৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ও ফেনী-১ আসন। এই চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে এখন জাসদের সংসদ সদস্য রয়েছেন হাসানুল হক ইনু, মঈনউদ্দিন খান বাদল ও শাহ জিকরুল আহমেদ। এর সঙ্গে ফেনী-১ এ খালেদা জিয়ার আসনটিতে লড়াই করবেন শিরীন আক্তার।
রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ ও ফজলে হোসেন বাদশার রাজশাহী-২ এর সঙ্গে এবার সাতক্ষীরা-১ ও চট্টগ্রাম-১ আসন পাচ্ছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিকে আসন বণ্টন জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ওই আওয়ামী লীগ নেতা জানান। বুধবার রাতে গণভবনে এক বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন এবং জাসদ সভাপতি ইনুও ছিলেন।
চট্টগ্রাম-২ ও লক্ষ্মীপুর-১ আসন তরীকত ফেডারেশনকে এবং পিরোজপুর-২ আসন জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ছেড়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ঢাকা-১৭ আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, হবিগঞ্জসহ ৩৩টি জেলার ৬০টি আসন রেখে দেয়া হচ্ছে দলটির জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, “এই আসন বণ্টনই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত। তবে শেষ মুহূর্তে দুই-একটি রদবদল হতে পারে।”
বিএনপির বয়কটের মুখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও তাকে নির্বাচনে পাওয়ার আশা ছাড়েননি আওয়ামী লীগ নেতারা।
বুধবার গণভবনে বৈঠকের পরও জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “যারা নির্বাচন প্রক্রিয়াতে অংশ নিয়েছে, তারা সকলেই থাকবেন।”