হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের জন্য সরাসরি জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সিপিবি বলেছে, ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।
Published : 07 May 2013, 09:50 AM
হেফাজতকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ায় সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেছে দলটি। রোববার পল্টন, গুলিস্তানে দিনভর তাণ্ডবের সময় সিপিবি ভবনেও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “রোববার ঢাকাবাসী যে তাণ্ডব দেখেছে তার জন্য প্রধানত দায়ী জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবির। ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।”
তিনি বলেন, “হেফাজতের এজেন্ডা ধারণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে চায় জামায়াত। আর বিএনপি তাদের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয়।”
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘ব্যর্থতার’ জন্য সরকার ও প্রশাসনকে দায়ী করেন সিপিবি সভাপতি।
সেলিম বলেন, “হেফাজত যা করেছে তা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান। আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জানি কীভাবে যুদ্ধ করতে হয়। সারপ্রাইজ এলিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তারা (হেফাজত) আরো বড় হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। তারা ভেবেছিল, রুশ বিপ্লবের মতো অভ্যুত্থান করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেবে।”
হেফাজতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গত এপ্রিলের ঘটনা থেকে সরকার শিক্ষা নিতে পারেনি। তা না হলে এতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন সমাবেশের অনুমতি দেয়া হলো।”
জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান সিপিবি নেতারা।
দলের সাধার সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, জামায়াত শিবির ও হেফাজতের সম্পত্তি, ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে সেই অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
হামলার সময় সিপিবি কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারপর বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া ভবনের নিচতলায় দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিও পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
গত রোববার ১৩ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা অবরোধের পর মতিঝিলে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম নামে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পল্টন, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান ও মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
পুলিশও বলেছে, এসব ঘটনার পেছনে জামায়াত-শিবির কর্মীরা জড়িত বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।