তিনি বলেছেন, “গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে গিয়ে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ব্যর্থ হয়েছে। এবারও তারা লন্ডন চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদের কথায় বোঝা যাচ্ছে, একটি নীলনকশা সামনে রেখে নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য তারা তৎপর হয়েছে। সহায়ক সরকার এবং বিভিন্ন ভিশন দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভণ্ডুল করতে চায় তারা।”
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন নাসিম।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি জোট। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে সুষ্ঠু ভোট হবে না দাবি করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে তারা।
নির্বাচন প্রশ্নে বর্তমান সংবিধানের আওতারবাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম; বিপরীতে বিএনপি নেতারা বলছেন, জনগণ চাইলে সংবিধান যে কোনো সময় পরিবর্তন করা যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ‘রোডম্যাপ’এর প্রতি আস্থা জানিয়ে নাসিম বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষভাবে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে।”
চট্টগ্রামে দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজমাউদ্দিন নদভীর স্ত্রী ও জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া নদভীর মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন নাসিম।
তিনি বলেন, “এ কথা আমি প্রথম শুনলাম। মহিলা লীগ আমাদের সহযোগী সংগঠন। এখানে কে আছে না আছে আমি জানি না। এ বিষয়ে আমি খোঁজ-খবর নেব।
“আওয়ামী লীগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার জন্য বলব। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো অনুপ্রবেশকারী এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে।”
বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য চট্টগ্রাম ও ফেনী অঞ্চলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এবং উত্তরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক দুটি প্রতিনিধি দল যাবে বলেও সাংবাদিকদের জানান নাসিম।
এর আগে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে জোটের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খলিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন অংশ নেন।
শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে ছিলেন জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, তরীকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ আউয়াল।