প্রধানমন্ত্রীর ‘শুভ বুদ্ধির উদয়’ দেখছেন নোমান

বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ কে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছে, তাকে সররকার প্রধানের ‘শুভ বুদ্ধির উদয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2017, 10:57 AM
Updated : 23 May 2017, 10:57 AM

এভাবে বিএনপির দেওয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাবের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী একসময় সমর্থন জানাবেন বলে মনে করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া গত ১০ মে সংবাদ সম্মেলন করে ‘ভিশন ২০৩০’ তুলে ধরেন, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবেন, তা সবিস্তারে জানান।

গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রথমবারের মতো বিএনপির রূপকল্প নিয়ে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। তার কাছ থেকে সবাই শিখবে। এটা খুব স্বাভাবিক কথা। সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। অন্তত এত যুগ পরে তাদের একটু মাথায় এল… তারা ভিশন ২০৩০ দিয়েছে। তারা শিখেছে। যদি নকল করেও পাস করতে চায়, করতে পারবে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ বিবেচনা করবে।”

নোমান বলেন, তার দলের চেয়ারপারসন ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই ঘোষণা বা রূপকল্প আওয়ামী লীগ আমলে নেয়নি।

“শেষ পর্যন্ত তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে- একটা ইতিবাচক কর্মসূচি বিএনপি দেশকে উপহার দিয়েছে।”

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।

“সেই মৌলিক পার্থক্য আছে বলেই রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী দল এখনো আছে। নাহলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, পারে নাই রাজনৈতিক শক্তির কারণে। ভবিষ্যতে বিএনপির যে আদর্শ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন, সেই রাজনীতি এগিয়ে যাবে। এই রাজনীতিকে আটকে রাখা যাবে না।”

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো ‘জনভিত্তি’ নেই বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান।

“আমরা চাই- দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাক এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাইলে (ক্ষমতাসীন দল) সংবিধান থেকে যেসব ধারা বাদ দিয়ে দিয়েছে, সেগুলোকে সংযোজন করলে তাদেরই লাভ হবে। তাদের আর দেশ পালাতে হবে না। ক্ষমতায় সরকার আসবে, সরকার যাবে। এই নীতিমালা যদি তারা গ্রহণ করে, তাদের আর পালাতে হবে না।”

অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।