এসব মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা আবেদন শুনে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
এর মধ্যে তিনটি মামলা দারুসসালাম থানার; আর একটি মামলা যাত্রাবাড়ীর।
এ চার মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
ওই রুলের নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত খালেদা এসব মামলায় জামিনে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে আদেশে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদিন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার সানজিত সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
সানজিত পরে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল চলাকালে মিরপুরের দারুসসালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
পরে খালেদা জিয়াকে ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে দেখিয়ে পুলিশ এসব মামলায় অভিযোগ দাখিল করলে ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার ছয়টি মামলা হাই কোর্ট স্থগিত করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল করছি।”