সরকারের ‘শুভবুদ্ধির’ আশায় বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উড়িয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ‘শুভবুদ্ধির’ উদয় হবে বলে তারা আশায় আছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2016, 05:46 PM
Updated : 3 Dec 2016, 06:31 PM

নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও এখানে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব রয়েছে বলেও মন্তব‌্য করেছেন তিনি।

হাঙ্গেরি সফর নিয়ে শনিবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

দশম সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং ওই নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ-হরতালে সহিংসতায় প্রাণহানির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার আগে তার (খালেদা জিয়া) জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।

“যারা খুনি, খুনিদের কথার আবার কিসের জবাব দেব?”

তার এই বক্তব‌্যের কয়েক ঘণ্টার মধ‌্যে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “নিরপেক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে এখনও আমরা আশা করি, সরকারের ‘শুভবুদ্ধির’ উদয় হবে। তারা সেই লক্ষ‌্যে সঠিক পথে এগোবেন।”

তিনি বলেন, “দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই কেবল বর্তমান সংকটের নিরসন করতে পারে। আমরা মনে করি, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হতে পারে যদি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায় এবং নির্বাচনকালীন সময়ে সহায়ক একটি সরকার থাকে।”

খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার রাষ্ট্রপতির উপর ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এটা রাষ্ট্রপতি ভালো বুঝবেন। তিনি পদক্ষেপ নেবেন। যে পদক্ষেপ নেবেন সেটাই হবে। এখানে আমাদের বলার কোনো কিছু নেই।”

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালীকরণে নতুন প্রস্তাব রেখেছেন। আমরা আশা করি, বিষয়টি রাষ্ট্রপতি দেখবেন। ক্ষমতাসীন বড় দল ও সরকার প্রধান হিসেবে তারও(প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব রযেছে।”

নির্ধারিত সময় ২০১৯ সালেই নির্বাচন হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব‌্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি। আমরা বলেছি, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সেজন্য দ্রুততম সময়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। সেই নির্বাচন কবে হবে সেটা সরকারের যারা আছেন তারাই ঠিক করবেন।”