সরকারের প্রশ্রয়ে পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Published : 16 Jan 2016, 01:21 PM
একদিন আগে এক ডিসিসি কর্মকর্তার উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন,“সেই পুলিশ কর্মকর্তা এই দম্ভোক্তি করেছেন যে, ‘মাছের রাজা হচ্ছে ইলিশ আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ‘।”
শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের মারধরের শিকার হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিদর্শক (পরিষ্কারও পরিচ্ছন্ন) বিকাশ চন্দ্র সাহা।
তার কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর উপর পুলিশি নির্যাতনের কথাও ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় তোলেন ফখরুল।
বিরোধী মত দমনে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসা বিএনপির এই নেতা বলেন, “আজকে এই রাষ্ট্রটা সম্পূর্ণভাবে একটা সিকিউরিটি স্টেটে পরিণত হয়েছে।
“এখানে রাজনীতিবিদ বলেন, সাধারণ মানুষ বলেন, বুদ্ধিজীবী বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষ বলেন, কারও কোনো অধিকার নেই। এখানে অধিকার একমাত্র যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা বলতে চাই, একদিন যখন জনগণ জেগে উঠবে, সেই স্বতস্ফূর্ত জাগরণকে ঠেকাবার কোনো রাস্তা থাকবে না। এটাই বাস্তবতা।”
“এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমাদেকে রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে,” জনগণের উদ্দেশে বলেন তিনি।
২০ দলীয় জোট শরিক জাগপার যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় সরকারকে ‘দাম্ভিকতা’ ফেলে আলোচনায় আসার আহ্বান আবারও জানান ফখরুল।
“আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য কাজ করুন। একটা নির্বাচন দিন, যার মধ্য দিয়ে জনগনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।”
তা নাহলে যে সঙ্কট সৃষ্টি হবে, তা থেকে আওয়ামী লীগও পরিত্রাণ পাবে না, হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দাবি করে ফখরুল বলেন, “ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এমন একটা খাত নেই যে খাতে লুণ্ঠন চলছে না। সরকারি লোকেরা লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন আজ দুঃসহ।”
জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, জাগপার ফাইজুর রহমান, মহিউদ্দিন বাবুল, এম এ মান্নান, এম এ ওয়াদুদ সভায় বক্তব্য রাখেন।