আ. লীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে: কাদের

আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদাবাজি নিয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িয়ে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে বহু দোকান। এই সকল ভুয়া ব্যক্তি ও দোকানের লোকেরা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া সংগঠন তৈরি করে চাঁদাবাজির আখড়া গড়ে তুলেছে।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাদের বলেন, “গতকালও বহু দোকানের সাইনবোর্ড দেখলাম-আওয়ামী ভূমি লীগ, এরা মনে হয় ভূমি দখল করার জন্য দোকান দিয়েছে। পাশেই আবার প্রচার লীগের নামে আরও কয়েকটা দোকান। এরা প্রচারের নামে অপপ্রচারটাই বেশি করছে।”

এই সব সংগঠন সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দলের সংকটের সময় হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না, আবার যখন সংকট আসবে তখনও তাদের পাওয়া যাবে না।”

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে সাবেক ছাত্র নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, “পাকিস্তানের মনে রাখা উচিৎ ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আমরা তাদের পরাজিত করেছি।

“আর এখন স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পরাজিত করেছি। পাকিস্তান আমাদের দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।”

‘আমাদের জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু’ সাপ্তাহিক পত্রিকার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

ভুয়া সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি বলেন, “গলায় কার্ড ঝুলিয়ে কত সাংবাদিক যে আসে, তার হিসাব নাই। পত্রিকার নাম জিজ্ঞাস করলে যেই পত্রিকার নাম বলে তা আমি জীবনেও শুনিনি।

“আবার বলে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। আসলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করতে গেলে যোগ্যতা লাগলেও সাংবাদিক হতে যোগ্যতার দরকার হয় না।”