সোমবার যুক্তরাজ্যে এক সংবর্ধনায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে মাত্র কয়েক বছর আগে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছে। তারপরও বহুদেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।
“আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রের যে চুড়ান্ত লক্ষ্য, সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে।”
বাঙালি অধ্যূষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের তুলনা করতে ব্রিটেনের উদাহরণ টেনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ বলেন, “ব্রিটেনের গণতন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা চলে না। এখনকার গণতন্ত্র খুব সহজে আসেনি। গত সাড়ে ৪শ’ বছরে এখানে সাতজন স্পিকারকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক ত্যাগ আর উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে তারা এই অবস্থানে এসেছে।”
আশরাফ লন্ডনের রাজনীতিতে বাঙালিদের অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “সত্তরের দশকে এখানে আমরা ইয়ুথ মুভমেন্ট করেছিলাম। প্রবাসী বাঙালিদেরকে চাকরি, ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। এর ফল হচ্ছে আজকের মেয়র, স্পিকার, তিনজন এমপি, শতাধিক কাউন্সিলর।”
সেই পথপরিক্রমায় ব্রিটেনে বাঙালি বংশোদ্ভুত কারো মন্ত্রী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত নির্বাচনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি নির্বাচিত হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এরই মধ্যে তার দল লেবার পার্টির ‘ছায়া সরকারে’ স্থান পেয়েছেন।
তিনি সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক শ্যাডো মিনিস্টার মাইকেল ডুগারের স্থায়ী ব্যক্তিগত সচিবের (পিপিএস) দায়িত্ব পেয়েছেন, যা সামনের কাতারে দায়িত্ব পালনের আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ।
কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আব্দুল মুকিত, নির্বাহী মেয়র জন বিগস, ডেপুটি মেয়র সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশের হাই কমিশনার এমএ হান্নান, কাউন্সিলার আয়াস মিয়া, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রমুখ।