স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
Published : 07 Aug 2015, 06:33 PM
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন শুক্রবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আগের দিন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের তিন সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, সম্পত্তি দখল এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে, নির্যাতন চালিয়ে উচ্ছেদের অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপি নেতা রিপন বলেন, “গতকাল বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে একটি জমিদার বাড়ির দেয়াল ভেঙে মালিকানায় আনার অভিযোগ তুলেছে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, জায়গা-জমি, দেবোত্তর সম্পত্তি, গির্জা ও বিহারের সম্পত্তি জবরদখলের উন্মত্ততায় মেতে উঠেছে।
“এ জবরদখলের সঙ্গে সরকারি দলের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী পরিষদের প্রভাবশালী সদস্যের নামও বেরিয়ে আসছে।”
ইতোপূর্বে সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়িতে আগুন, তাদের স্থাপনা দখল ও অন্যান্য নির্যাতনের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির দিকে অভিযোগ তুলে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “আপনারা একটু গলা ঝেড়ে কাশুন। আপনারা বলেছেন, সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে তাদের সম্পত্তি দখল হচ্ছে। আসলে নাম ভাঙিয়ে নয়, সরকারি দলের লোকজনই জমি দখল করছে।
“তাই বলছি-এখন সময় এসেছে গলা ঝেড়ে কেশে সরাসরি কথা বলুন। কারণ আপনারাই সরকারি দলের দুইজন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছেন। তারা সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে নয়, তারা সরকারি দলের লোক।’’
নয়া দিল্লিতে সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক প্রসঙ্গে রিপন বলেন, “গত কয়েকদিনে আগে দিল্লিতে দুই প্রতিষ্ঠানের ডিজি লেবেলের বৈঠকে যে ফলাফল প্রত্যাশা করেছিলাম, তা দেখতে না পেয়ে আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছি। বিজিবি ডিজি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরেছেন কি না, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
“কারণ ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় ওই বৈঠক সম্পর্কে যে সংবাদ এসেছে, তাতে সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে কোনো আশার সঞ্চার করতে পারেনি।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।