‘সম্মান রক্ষায়’ দিল্লিতে বাবা-মা’র হাতে মেয়ে খুন

আবার ‘অনার কিলিং’ বা সম্মান রক্ষায় হত্যা। এবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। ভিন্ন বর্ণের এক ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে নিজের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 03:05 PM
Updated : 20 Nov 2014, 03:05 PM

২১ বছরের মেয়ে ভাবনা যাদবকে হত্যা করে পুলিশকে কোনো কিছু না জনিয়েই শেষকৃত্য করে ফেলে তার পরিবার। মেয়ের বাবা-মা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও পুলিশ বলছে তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

ভারতে সম্মান রক্ষার নামে হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকলেও বড় শহরগুলোর শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারে এমনটি সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ ঘটনাটি অনেককেই মর্মাহত করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে নিজ বাড়িতেই ভাবনার বাবা জগমোহন যাদব ও মা সাবিত্রী তাকে খুন করে রাজস্থানের আলওয়ার গ্রামে তাকে দাহ করে। এর আগে গত সপ্তাহেই ভাবনা তার বাবা-মা’র অমতে ২৪ বছর বয়সী অভিষেক শেঠকে বিয়ে করেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ভবনে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে কাজ করতে অভিষেক। অপরদিকে, ভাবনা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। একটি পার্টিতে দুইজনের দেখা হয়। তাদের জাত ভিন্ন ছিল এবং এ কারণে বাড়ি থেকে মেনে নেবে না জেনেও অভিষেককে বিয়ে করেছিলেন ভাবনা।

অভিষেক জানান, ওইদিন রাতেই ভাবনার বাবা-মা তাদের বাড়ি এসে জানান ঘটা করে অভিষেকের সঙ্গে ভাবনার বিয়ে দিতে চান তারা। কিন্তু মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার পর তারা কথা বদলে ফেলেন। মেয়েকে সাফ জানান এ বিয়ে তারা মানছেন না এবং তাদের ইচ্ছামতই ভাবনাকে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে হবে।

এরপরই অভিষেকের পরিবার তার এক আত্মীয়র ফোনে ভাবনার মৃত্যুর কথা জানতে পারে।

দিল্লির উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সুমন গোয়েল জানান, মেয়ের সঙ্গে বাদানুবাদের সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। প্রথমত ভাবনার বাবা-মা সাপের কামড়ে মেয়ের মৃত্যুর কথা বললেও ঘটনার নিবিড় তদন্তের পর তারা অপরাধ স্বীকার করে।