মঙ্গলবার রাতে মেঘালয়ের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার পেডালডোবা থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তারা ধরা পড়েন।
গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ গুয়াহাটিতে সংবাদ সম্মেলন করে পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন উলফার সংলাপবিরোধী অংশের প্রতি আবারও শান্তি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
গগৈ বলেন, পরেশ বড়ুয়া রাজ্যে ফিরে মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দিলে তিনি তার দায়মুক্তির জন্য ভারত সরকারের কাছে চিঠি লিখতে প্রস্তুত।
“আপনি (বড়ুয়া) যদি আসলেই কিছু করতে চান, তাহলে আসামে ফিরে জনগণের জন্য সংগ্রাম করুন। দল গঠন করুন, রাজনীতিতে যোগ দিন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। প্রমাণ করুন, জনগণ আপনাকে চায়।”
বুধবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসাম ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে এই বিচ্ছিন্নতাবাতী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
গারো পাহাড়ে এই অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী ওই ছয় জনকে ছয়টি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি, দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড ও একটি টাটা নেনো গাড়ি উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত উলফা গেরিলারা আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় চাঁদাবাজির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশের মাটি থেকে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর তারা মিয়ানমার-চীন সীমান্তের কোথাও অবস্থান করছে বলে রাজ্য পুলিশের বিশ্বাস।
উলফার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের দাবি পূরণে আলোচনার পথে শান্তিপ্রক্রিয়ায় যোগ দিলেও পরেশ বড়ুয়া মিয়ানমারে ঘাঁটি স্থাপন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।