বৃষ্টি ও পানির ঢলে পাহাড়ি ওই অঞ্চলগুলোতে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার থেকে আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরফলে সৃষ্ট বন্যায় বিভিন্ন সেতু ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে।
বিবিসি ও ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মেঘালয়ে অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতশাসিত কাশ্মিরে মৌসুমী ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ২৭০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে মেঘালয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২৫। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রদেশটির উত্তর গারো ও পশ্চিম গারো জেলায় বন্যার পানিতে ভেসে অথবা ভূমিধসে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
পাশাপাশি আসাম প্রদেশেও সেনা সদস্য ও কেন্দ্রীয় উদ্ধারকর্মীরা গোয়ালপাড়া জেলায় বন্যায় আটকে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করেছে।
আসামের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটি ও রাজধানী দিশপুরেও ব্যাপক বন্যা হয়েছে। এছাড়াও আশপাশের অনেক অঞ্চলই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গুয়াহাটির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভারালু নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই দিনও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১২ সালের জুলাইয়ে আসামে বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।