ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওজন নিয়ে এটিই কোনও শিশু জন্মের রেকর্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্নাটকের একটি হাসপাতালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ৬ দশমিক ৮ কেজি ওজনের ওই শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মায়ের নাম নন্দিনী (২০)।
পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুটির ওজন এতো বেশি হওয়ার কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
হাসান জেলার জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ভেঙ্কটেশ আর বিবিসি’কে বলেন, “আমি বলতে পারি, সে ভারতে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে বড় শিশু। যদিও সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সদ্যজাত শিশু কিনা তা আমি এখনই বলতে পারছি না।”
“শিশুটির ওজনই শুধু বেশি নয়। বরং তার উচ্চতাও স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় বেশি।”
নন্দিনী ও তার শিশুটির দেখভাল করছেন ডা. এসআর কুমার।
তিনি বলেন, “জন্মের সময় শিশুটির উচ্চতা ছিল ৬২ সেন্টিমিটার। যেখানে ভারতে সাধারণত জন্মের সময় শিশুদের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার থাকে।”
সাধারণত জন্মের সময় শিশুদের স্বাভাবিক ওজন ২ দশমিক ৫ কেজি থেকে ৩ দশমিক ৫ কেজি।
নন্দিনী যখন ছয় মাসের গর্ভবতী তখনই তার গর্ভে থাকা শিশুর অস্বাভাবিক বেশি ওজন ধরা পড়ে।
অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালে মায়েদের ডায়াবেটিস ধরা পড়লে গর্ভের শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়।
চিকিৎসকরা নন্দিনীর রক্ত পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস পায়নি।
ডা. কুমার বলেন, “আমরা আল্ট্রাসাউন্ড ও রক্ত পরীক্ষা করে কোনো অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাইনি।”
“প্রাকৃতিকভাবে বিপাক জনিত কোনো ত্রুটি আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে আমরা পরীক্ষার ফল পেয়ে যাব।”
এর আগে গত বছর নভেম্বরে উত্তর প্রদেশে ফেরদৌস খাতুন নামে এক নারী ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন।