হাই হিল, বড় ব্যাগ আর ‘টাইট’ জিন্স এখন ফ্যাশনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ফ্যাশন অনুসরণ করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই শারীরিক অনেক সমস্যাই তৈরি হচ্ছে।
Published : 30 Oct 2014, 07:03 PM
ফ্যাশন বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে শরীরে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে চলছে বড় ব্যাগের ফ্যাশন। তবে শুধু ফ্যাশন নয় প্রয়োজনের খাতিরেও বড় ব্যাগ ব্যবহার করতে হয়। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের বই-খাতা নেওয়ার জন্য প্রতিদিনই বইতে বেশ ভারি ব্যাগ। আর চাকুরিজীবী নারীদেরও ল্যাপটপ, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য জিনিস নেওয়ার জন্য বড় ব্যাগ ব্যবহার করতে হয়।
আর প্রতিদিনই এক পাশে ভারি একটি ব্যাগ বইলে কাঁধে এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে। কারণ প্রতিদিন ভারি ব্যাগ নেওয়ার ফলে শরীরের একপাশে বেশি চাপ পড়ে।
তাই এই সমস্যা কমাতে বড় বেল্টের ব্যাগ ব্যবহার করা যায় যেটা শুধু কাঁধ নয় বরং আড়াআড়িভাবে নেওয়া যাবে। এতে করে কাঁধের পাশাপাশি শরীরেও ব্যাগের ভার কিছুটা ভাগ হয়ে যাবে। তাছাড়া ব্যাগে একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া দরকারি নয় এমন জিনিস না রাখাই ভালো।
বেশিরভাগ পুরুষই প্যান্টের পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রেখে অভ্যস্ত। আর পকেটে মানিব্যাগ নিয়ে কাজ করতে বসেন। এর কারণে পিঠের ক্ষতি হতে পারে।
মোটা ও ভারি মানিব্যাগের উপরে বসলে শরীরের সামঞ্জস্য বজায় থাকে না। এই কারণে পিঠে এবং শরীরের নিম্নাংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে।
এছাড়া অনেক সময় পায়েও ব্যথা হতে পারে। তাই এ সমস্যা থেকে বাঁচতে প্যান্টের সামনের পকেটে মানিব্যাগ রাখার অভ্যাস করতে হবে। এবং দীর্ঘসময় বসার জন্য মানিব্যাগ পকেট থেকে বের করে বসলে এই ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
অনেক ফ্যাশন সচেতন নারী মনে করেন 'হাই-হিল' না হলে স্টাইলিশ দেখানো সম্ভব নয়। তবে ‘হাই-হিল’ পরার কারণে পা, পিঠ এবং ঘাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
হাই-হিলের কারণে পায়ের সামঞ্জস্য বজায় থাকে না। আর এর কারণে শরীরের ভারসাম্য যথাস্থানে থাকে না। নিয়মিত হাই-হিল পরলে গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে চাইলে হাই-হিল পরার অভ্যাস কমাতে হবে।
গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা জিন্সই এখন ফ্যাশনের সব থেকে জনপ্রিয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে অনেকেই আঁটোসাঁটো কাপড় পরেন। তবে এই ধরনের চেপে থাকা পোশাক পরাও অস্বস্তিকর। আর বেশি স্কিনি জিন্স নিয়মিত পরলে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।