সম্প্রতি হামহাম জলপ্রপাত ঘুরে এসেছেন মাসিক রম্য পত্রিকা 'উন্মাদ'য়ের সহযোগী সম্পাদক সৈয়দ খালেদ সাইফুল্লাহ। আর দশটা বাঙালি মানুষের মতো হয়েও কীভাবে অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়েছিলেন সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি মেলে ধরেছেন এখানে।
Published : 17 Sep 2014, 05:50 PM
আর দশটা সাধারণ বাঙালি স্বভাব-চরিত্র যেমন, আমিও সেরকমই। খাই-দাই, সুযোগ পেলে দুপুরে ভাত-ঘুম দেই। বন্ধুদের পেলে জাঁকিয়ে আড্ডা বসাই। চায়ের কাপে রাজা-উজির মারি, হুজুগ উঠলে সবার সঙ্গে গলা ফাটাই। আবার হুজুগ চলে গেলে সবার মতোই মিইয়ে পড়ি।
সেরকমই একটা হুজুগ উঠা সন্ধ্যায় যখন হামহাম অ্যাডভেঞ্চারের কথা উঠলো— সবার সঙ্গে আমিও নেচে উঠলাম। শহরে নাকি 'এ ফর অ্যাডভেঞ্চার' নামে নতুন একটা অ্যাডভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান এসেছে। অনেকটা সৈয়দ মুজতবা আলীর কুক কোম্পানির মতো! তাদের সঙ্গে ট্যুর।
কিন্তু আমার বন্ধুদের হুজুগ তখনও নামেনি! কিছুক্ষণ গাঁইগুঁই করে তাদের সঙ্গে আমিও গেলাম।
ট্রেনিংয়ে অনেক শক্ত শক্ত কথা হলো। আমি এক কানে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলাম। ঘুরতে যাওয়ার জন্য এতো হ্যাপা নেওয়ার দরকার কী! হেডফোন কানে লাগিয়ে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ঘুরলেই হয়। অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানি যখন আমাদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলে যাচ্ছে, আমি গুনগুন করে গান গেয়ে যাচ্ছি।
একসময় তারা আমাকে জিজ্ঞেস করলো, "আপনি এতো গা-ছাড়াভাবে কেনো আছেন? আপনার কি মনে হচ্ছে খুব সহজ ট্যুর?"
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। তারা সতর্ক করে দিয়ে বললো, "ব্যাপারটা আসলে মোটেও তেমন না। বি সিরিয়াস!"
বাটারবান, ইটসি বিটসি কেক, কলা এইসব। আমি খুশি হয়ে গেলাম।
"এইসব কি রাস্তায় খাবার জন্য?" কোম্পানি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম-লিডারকে জিজ্ঞেস করলাম।
টিমলিডার গম্ভীর হয়ে উত্তর দিলেন, "জ্বি না, এইগুলো আপনাদের কাল দুপুরের লাঞ্চ। অ্যাডভেঞ্চার করার সময় ভারী খাবার খেতে হয় না!"
না খাওয়ার কথা শুনে আমি বিমর্ষ হয়ে পড়লাম। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে না পারলে আর ঘুরে বেড়িয়ে কী লাভ? কিন্তু ওকি? মাইক্রোবাসে দেখি ওঠানো হচ্ছে আরেক ‘খাওয়ার’ জিনিস। নেশা করার গুল!
আমি ক্ষেপে উঠলাম। "অ্যাডভেঞ্চারের নামে এসব আপনারা কী শুরু করেছেন? এক্ষণ... এক্ষণ এইসব ফেলতে হবে...!"
টিম-লিডার বিরক্ত হয়ে বললেন- গুল দেখে ক্ষেপে ওঠার কিছু নেই। এ জিনিস দিয়ে জোঁক ছাড়ানো হবে। আপনি উত্তেজিত না হয়ে দয়া করে বসুন!
আমি প্রমাদ গুনলাম। যাবার আর কোনো পথ নেই? জবাব পেলাম যে আরেকটা পথ আছে পাহাড়ের উপর দিয়ে। তবে ওই পথ এই বৃষ্টির সময় পিচ্ছিল আর দুর্গম; এর চেয়ে ঝিরিপথই ভালো।
‘ভালোর’ নমুনা শুনে আমি চুপ মেরে গেলাম। কেনো আসলাম এদের সঙ্গে আরামের বিছানা ত্যাগ করে!
শেষরাতে শ্রীমঙ্গলে হোটেলে পৌঁছে ভোর ভোর সবাই তৈরি হয়ে নিলাম। আমার তৈরি হওয়া দেখে টিম-লিডারের চোখ কপালে, "আপনি এই স্নিকারস পরেছেন কেনো? বলেছিলাম না একটু খাঁজওয়ালা কেডস পরতে?"
আমি মিনমিন করে বললাম, "আমার খুব শখের এই কেডস।"
টিম-লিডার বললেন, "শখের কেডস? এখন শখের কেডস নিয়ে যদি পাহাড় থেকে আছাড় খেয়ে পড়েন? এমনিতেই আজকে বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল রাস্তা..।"
পিচ্ছিল রাস্তার কথা শুনে আমি আরও চুপসে গেলাম। চুপচাপ নাশতার টেবিলে গিয়ে বসলাম। টেনশনে নাশতাতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না। আমার সঙ্গে বসেছেন আরেক অভিযাত্রী। নির্বিকারে পরোটা পর পরোটা উড়িয়ে দিচ্ছেন।
আমাকে একবার আগ্রহ করে বললেন, "পরোটাটা কি রকম খাস্তা দেখেছেন?"
সবার সঙ্গে গাড়িতে উঠে বসলাম।
প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আমাদের উড়িয়ে নেওয়ার পর ড্রাইভার ঘোষণা করলেন, "এইটা চাম্পারাই টি এস্টেট। আপনেগো অ্যাডভেঞ্চার এইখান থিকাই শুরু...।"
আমরা নামলাম। টিম-লিডার পরিচয় করিয়ে দিলেন গাইড সামিটের সঙ্গে। আর সামিট পরিচয় করিয়ে দিলেন উৎসাহী জড়ো হয়ে থাকা স্থানীয় কয়েকজন ত্রিপুরা অধিবাসীর সঙ্গে।
আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করলাম, এখানকার মানুষদের ভাষার সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের ভাষার একেবারেই মিল নেই! বাংলাই বলছে তারা, একটু অন্যরকম টানে। সেই অদ্ভুত বাংলা টানে কথা বলতে বলতে তারা যেভাবে সহমর্মিতার সঙ্গে গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো- আমি একটু ভড়কেই গেলাম! এরা এতো মায়া করছে কেনো? সামনে কী আছে?
সামনে কী আছে সেটা দেখার জন্যই টিম-লিডার হাঁক দিলো। প্রথমেই সবার হাতে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো পানির বোতল, স্যালাইনের প্যাকেট, গ্লুকোজের শিশি, বিস্কুটের ঠোঙা এইসব। এখন থেকে যার যার জিনিস তাকেই বহন করতে হবে! আর সবাইকে বলে দেওয়া হলো- ঝিরিপথে এখন বুক-পানি না, কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন দেড় মানুষ পানি! আমাদের যেতে হবে এখন পাহাড়ের উপর দিয়ে...।
আমরা যার যার জিনিস বুঝে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। প্রথমেই পড়লো চা-বাগান। আমরা মুগ্ধ! কী সুন্দর চা-বাগান! মাপমতো ছেঁটে ছেঁটে রাখা হয়েছে সব। শ্রমিকেরা সব ব্যস্ত গাছের পরিচর্যায়। আমরা দেখতে দেখতে হাঁটছি। ভাদ্র মাসের প্রখর রৌদ্রে একসময় চা-বাগানও বিরক্ত লাগা শুরু করলো।
আমরা জঙ্গলের ভেতর ঢুকলাম। ঢুকে ভালোই লাগলো। এতক্ষণের অসহ্য রৌদ্রের হাত থেকে তো বাঁচা গেলো! আমি সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম- বাগানের চেয়ে বন ভালো!
গাইড মহাশয় দেখি আমাদের সবার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! আমি লাঠি দেখেই হা হা করে হাসা শুরু করলাম।
হাসতে হাসতে বললাম, "আপনারা এইসব বাদ দেন তো! এমনিতেই তো সুন্দর হাঁটতে পারছি। বাঁশের লাঠির আবার কী দরকা...."
কথা শেষ করার আগেই আমি ধড়াম করে পিছলে পড়লাম! আমার আগে পরে কেউ আর পড়লো না, বাঁশের লাঠি দিয়ে সবাই সামলিয়ে নিয়েছে! আছাড় খাওয়া কারণে একটু জিরিয়ে নিয়ে শুরু হলো আমাদের পথচলা।
ওহ! কি সেই পথচলা। এখনও মনে হলে গা-হাত-পা শিউড়ে ওঠে! পিচ্ছিল পাথুরে পথ। মাঝেমাঝে সোজা উঠে গেছে নাক বরাবর! উপরে তাও কষ্ট করে হাঁচড়েপাঁচড়ে ওঠা যায়; কিন্তু যখন দেখি নামার জন্য পিচ্ছিল কাদার ঢালু পথ- আমার কান্না আসে। আছাড় না খেয়ে এই রাস্তায় নামার উপায় কী? আমাদের গাইড পথ দেখান, টিমলিডার সাহায্য করেন- আর আমরা কেঁদে-কঁকিয়ে ঢিমেতালে চলি।
হঠাৎ দেখি রাস্তা শেষ! সামনে দিয়ে বয়ে চলেছে খাল! যাবো কীভাবে? গাইড নির্বিকার। চোখে দেখা যায় না এমন সরু একটা বাঁশ কোনভাবে বেঁধে রাখা আছে। আমাদের এখন অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে সেই বাঁশে পা রেখে ‘সাঁকো’ পার হয়ে যেতে হবে! যেন শেষবিচারের সময় পুলসিরাতের মতো! আমি সাঁকো পার হবার সময় চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
টিমলিডার কানে কানে বললো, "পানিতে পড়লে অসুবিধা নেই। জোঁকের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে!"
টিম-লিডারের কথা শুনে আমি এতো বড় করে চোখ খুললাম যে তার সঙ্গে ফ্রেসকোর তুলনা হয়!
মাঝেমাঝেই আমরা জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন পাথেয় স্যালাইন আর গ্লুকোজ। হেলাফেলা করা সেই বাঁশকেই তখন মনে হচ্ছিলো পরম বন্ধু! ঘন জঙ্গলের পাহাড়ি রাস্তায় আমরা উঠতে লাগলাম, কোনসময় নামতে লাগলাম। সূর্য ততোক্ষণে তাপ ছড়িয়ে পুরো ফেটে পড়ছে। আর নিজেদের তখন মনে হচ্ছিলো সূর্যের চেয়েও তপ্ত।
টিম-লিডারকে জিজ্ঞেস করে চলেছি শুরুর থেকেই, "আর কতক্ষণ?"
টিমলিডার জবাব দিচ্ছে, "আর একটু।"
তার এই একটু যেন অনন্তকালের একটু। শেষ আর হয়না! অবশেষে গাইডের মুখে হাসি দেখা গেলো। প্রায় নব্বই ডিগ্রি খাড়া নেমে যাওয়া একটা দীর্ঘ পথ দেখিয়ে বললো- এটা ধরে নামলেই ঝিরিপথ!
সেই খাড়া পথ দেখেই আমার মাথা টলকে উঠলো। বাঁশের লাঠি দিয়ে কোনরকমে সামলালাম। তারপর আর সবার মতো শরীরটাকে বাইনমাছের মতো মুচড়িয়ে শুরু করলাম নিচে নামা। নামা তো না, একে বলা যায় হড়কানো! হড়কাতে হড়কাতেই প্রায় তিন-চারতলা সমান উচ্চতা নেমে প্রায় উড়ে এসে পড়লাম ঝিরির গায়ে! আহ... ঝিরির ঠাণ্ডা পানিতে মনে হলো সব ক্লান্তি নিমিষেই ধুয়ে মুছে গেলো!
আমি সিদ্ধান্তে আসলাম- বন হতে ঝিরিপথ ভালো!
ভালোর নমুনা পাওয়া গেলো আর কিছুক্ষণ পর, যখন হাঁটু পানিতে ছপ ছপ করে হাঁটতে হাঁটতে ধুপ করে গলা পানিতে নেমে গেলাম! ব্যাপার কী? ব্যাপার হলো সামনের পাথরটা নাকি ‘সামান্য’ সরে গেছে! তাই এই গলাপানি।
টিম-লিডার বললেন, "সাবধানে হাঁটেন!"
আমি মুখ গোঁজ করে বললাম, "সাবধানেই হাঁটছি...।"
বলার পরপরই পা পিছলে ধড়াম করে পাথরের গায়ে আছড়ে পড়লাম! আমার পৃথিবী হয়ে এলো অন্ধকার...!
অন্ধকারে কিসের যেন আলোর রেখা! আমি চোখ খুললাম। তাকিয়ে দেখি মাথার ওপর কয়েকটা উদ্বিগ্ন মুখ। টিম-লিডার হাত-পা চেক করলেন। বললেন, "ঠিক আছে।"
তারপর টিম-লিডার সাহেব নির্বিকার মুখে রসিকতা করলেন একটা। অশালীন রসিকতা। আমি হা হা করে হেসে উঠলাম। টিমলিডার এবার নির্ভার হয়ে বললেন- যাক মাথাও ঠিক আছে!
ঝিরির মধ্য দিয়ে এভাবে কতক্ষণ গেলো জানি না। হঠাৎ টিম-লিডার বললো, "সবাই দাঁড়িয়ে যান। হল্ট..."
আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। টিম-লিডার বললেন, "সামনের বাঁকটা সবাই একসাথে পেরোব।"
তার গলা শুনে আমি আঁতকে উঠলাম। এভাবে তো কখনও বলেনি! সামনে কী...???
দ্রিম দ্রিম বুকের কাঁপন নিয়ে সামনের বাঁক পেরোলাম। আর পেরোনোর পরেই... ওহ... চোখের সামনে যেন শিল্পীর তুলি দিয়ে আঁকা তার জীবনের সেরা চিত্রকর্ম! হামহাম ঝরনা! স্বগর্জনে ধেয়ে আসছে দেড়শো ফুট উপর থেকে, প্রাণের উচ্ছলে তা যেন মিশে যাচ্ছে নিচের জলরাশিতে।
অসহ্য সুন্দরের সামনে এসে মানুষ যেন কেমন খেই হারিয়ে ফেলে। আমি তাকিয়ে দেখি আশপাশে অভিযাত্রীরা কেউ গলা ফাটিয়ে গাইছে, কেউ মোবাইলে ফোন করে প্রিয়জনকে সুখানুভূতি জানাচ্ছে, কেউ আনন্দে ভেউ ভেউ করে কাঁদছে!
ঝরনা পানিতে লেপ্টে বসেই সঙ্গে আনা রুটি-কেক-বিস্কুট দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারলাম। এরপর চমক! গাইড দেখি আমাদের জন্য পানিতে বসে খাওয়ার জন্য নিয়ে এসেছে গরম গরম চা! সুখ তখন যেন সপ্ত-আকাশ স্পর্শ করেছে...!
এরপর ফেরার পালা। আমরা সতেজ মনে উঠে দাঁড়ালাম। তারপর বিশ্বাস করুন- হামহাম জয়ের আত্মবিশ্বাসেই কিনা, ফেরার পথটা টেরই পেলাম না। যেন কোনও পঙ্খীরাজে চড়ে টগবগ টগবগ করে পেরিয়ে এলাম ঝিরিপথ-সাঁকো-বন-পাহাড়-চা বাগান!
সন্ধ্যা নামে নামে অবস্থায় যখন আবার চাম্পারাই টি-এস্টেটে আমাদের গাড়িতে ফেরত এলাম- দেহে তখন রাজ্যের ক্লান্তি, মনে তখন বিশ্বজয়ের তৃপ্তি।
যারা মুখে-পিঠে হাত বুলিয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে আবার দেখা হলো। আমার চোখেমুখে ফিরতে পারার হাসি; আর তাদের চোখেমুখে আমাদের নিরাপদে ফিরতে দেখার শান্তি!
পাঠক, এই ছিলো আমাদের হামহাম জয়ের জবানবন্দী! তবে পরের মুখে ঝাল খেয়ে লাভ কী? কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেড়িয়েই পড়ুন একদিন, হামহাম কিন্তু আপনারও পদস্পর্শ পাওয়ার অপেক্ষায়!
যাবেন কীভাবে?
যাওয়ার জন্য প্রথমেই দরকার দুটো হাত, দুটো পা আর সুস্থ শরীর। সেটা যদি থেকে থাকে আর ট্যাঁকে হাজার তিনেকের মতো টাকা আর মনের মতো পাঁচ-ছয়জন বন্ধু— আপনার মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই!
প্রথমেই শ্রীমঙ্গলের বাস ধরে ফেলুন। ট্রেনেও আসতে পারেন। রাতে শ্রীমঙ্গলেই নানান ধরনের হোটেলে থাকতে পারেন। ভোরে উঠেই আড়াইশো বা তিনশো টাকায় সিএনজি রিজার্ভ করে চলে যান কলাবন পাড়ার চাম্পারাই টি-এস্টেটে।
গাইড যদি আগেই ঠিক করা থাকে তো ভালোই, না হলে এখানেও আপনার জন্য গাইড তৈরি থাকবে।
আর বিশেষ কি, যাত্রা শুভ হোক। কাল বাদে পরশুই হয়ত বা আপনিও কলার উঁচিয়ে আমাকে এসে বলবেন- হামহাম গিয়েছিলেন না? আমিও...