গ্রিন টিতে রয়েছে পলিফেনল। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্পাইনাল কর্ড বা মেরুদণ্ডের স্নায়ু আঘাতপ্রাপ্ত হলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
Published : 25 Aug 2014, 10:08 AM
পলিফেনল, গ্রিন টি’র এমন একটি রাসায়নিক উপাদান যা মেরুদণ্ডের নিউরন বা স্নায়ুকোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা অক্সিজেনের অভাবে তৈরি চাপের পরিমাণ কমিয়ে এনে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে আনে, সম্প্রতি এক গবেষণায় চীনা গবেষকরা এমনই কিছু প্রমাণ পেয়েছেন।
শরীরের নির্দিষ্ট একটি অঙ্গ ক্রমাগত কাজ করার ফলে যে ক্লান্তি অনুভূত হয় তাকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলে।
লিয়াওনিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক জিয়ানবো ঝাও এবং তার সহকর্মীরা গবেষণাগারে ইঁদুরের উপর এই পরীক্ষা করেছেন এবং বেশ ইতিবাচক ফলাফলই পেয়েছেন।
ঝাও বলেন, “গ্রিন টি’র নির্যাস প্রয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং নিউরাল অ্যাপপটোসিস কমিয়ে আনে।”
মেরুদণ্ডের স্নায়ুকোষে মাঝারি আঘাতের ফলে সাধারণত অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের লক্ষণ দেখা যায়, যা বেশ ক্ষতিকর।
গবেষকরা ধারণা করেন, এই ফলাফল স্নায়ুকোষে আঘাত থেকে আরোগ্য লাভের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
গ্রিন টি’র পলিফেনল নতুন করে স্নায়ুকোষ উৎপাদনেও সহায়তা করবে, গবেষণার ফলাফলে এমনটাই প্রকাশ করেছে ‘জার্নাল নিউরাল রিজেনারেশন রিসার্চ’।
ছবি: আইএএনএস।