বনানীর ১০ নম্বর রোডের ৩০ নম্বর বাড়ির 'হোয়াইট হেন গুরমে' দোকানে ঢুকলে মনে হতে পারে মাংস নয়, এখানে অন্য কিছু বিক্রি করা হয়। ‘কসাইখানা’ বলতেই চোখের সামনে যেসব অস্বাস্থ্যকর ছবি ভেসে উঠে, সম্পুর্ণ বিপরীত চিত্র পাওয়া যাবে এখানে।
Published : 23 Aug 2014, 02:39 PM
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, সাজানো গোছানো পরিবেশ, নিয়মমাফিক থরে-থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পলিব্যাগে মোড়ানো মাংসগুলো। ফ্রিজগুলোতে নেই কোনও রক্তের দাগ, নেই কোনও মাছি।
এমনকি দোকানের ভেতরের মাংস কাটার মেশিনগুলোও ঝকঝকে।
এই ‘কসাইখানা’র দ্বায়িত্বে আছেন মেহেদি হাসান। তিনি বলেন, "এখানে আমরা শুধুমাত্র বাছাইকরা ও রোগমুক্ত মাঝারি আকারের ষাঁড়ই বিক্রি করে থাকি।"
হাসান আরও জানান, এক অস্ট্রেলীয় ভদ্রলোক একসময় এই দোকানের দায়িত্বে ছিলেন তিনিই একেবারে হাতে কলমে মাংস কাটা থেকে শুরু করে সঠিক তাপমাত্রায় তা সংরক্ষণ খুটিনাটি শিখিয়ে দিয়েছেন।
তিন দরজার দুটি ফ্রিজ। প্রথমটিতে গরুর মাংস, পরেরটায় মুরগি। বাছাই করা গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করা স্টেকের কাটা মাংস আলাদা পাত্রে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও এই স্টেকের মাংস মেরিনেটেড করেও বিক্রি করা হয়। মেরিনেশনগুলো হল, বারবিকিউ, রোজমেরি, এক্সোটিক গ্রিল ও চিলি-জিনজার-লাইম ফ্লেভারড।
পাশেই মুরগির মাংসের আয়োজন। স্টারফ্রাই কিম্বা সটেই, বা গার্লিক সবই মিলবে। আরও মিলবে চিকেন মেরিল্যান্ড ও স্নিটজেল। এই মাংসের প্রতি কেজি জন্য গুণতে হবে ৪৩৫ থেকে ৬৫০ টাকা।
প্রত্যেক কর্মচারীই হাতে গ্লাভস পরে কাজ করেন। পোশাকের ক্ষেত্রেও এখানকার কর্মচারীরা বেশ পরিপাটি।
দোকানের শেষ প্রান্তে ছোট্ট পরিসরের গ্রোসারি শাখায় পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের সস, কফি, সেমাই, নুডুলস, বিস্কুট ইত্যাদি।
হোয়াইট হেনের মাংস কাটার মেশিনগুলো বসানো হয়েছে দোকানের পেছনের অংশে। খাবারে ‘ধোঁয়াটে স্বাদ’ আনার জন্য আছে স্মোকিং মেশিন। এছাড়া আছে বেকন কাটার মেশিন।
এই দোকানেরই একটি অংশে পেস্ট্রি শপ। ঢুকতেই চোখ আটকে যাবে 'লোভনীয়' কেক ও পেস্ট্রিগুলোর উপর। আছে চকলেট রোল, হানড্রেড থাউস্যান্ড পেস্ট্রি, ক্যারামেল পেস্ট্রি, চকলেট ব্রাউনিসহ প্রায় ৫০টির মতো পদ।
এছাড়াও বেশ কয়েকরকমের রুটি তৈরি হয় এখানে।
ছবি: মামুনুর রশীদ শিশির।