ঈদ পোশাক

ঈদ ঘিরে দেশীয় ফ্যাশনঘরের কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়লেও এই শিল্পের মালিকদের রয়েছে দারুণ ক্ষোভ। মার্কেটগুলোতে ভারতীয় আর পাকিস্তানি কাপড়ে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় দেশীয় এসব শিল্পে নেমেছে ধস। দিনের পর দিন দোকানিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মনি ইয়াছিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2014, 03:41 AM
Updated : 21 July 2014, 03:44 AM

তারপরও পোশাক বাজার বেশ চাঙ্গা। দেশীয় ফ্যাশনঘরগুলোতে নতুন নকশার কাপড় উঠছে, আর বিক্রি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে চরকা ফ্যাশন হাউসের কর্ণধার জাভেদ কামাল বলেন, “এ বছর চরকা ফ্যাশন হাউজের ঈদ বেচাকেনার ৮০ লাখ টাকা মূলধন। গত ১০ রমজান পর্যন্ত মূলধনের প্রায় ১০% উঠে এসেছে।”

জাভেদ কামালের মতে, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ঈদ বোনাস হবে ১৫ থেকে ২৫ রোজার মধ্যে। অধিকাংশ কর্মজীবী শ্রমিকদের হাতে টাকা আসলেই ঈদের বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হবে।

তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৮-১০ হাজার কোটি টাকার দেশি পোশাক বিক্রি হয়। এবারও সেরকমই হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ বছরের ঈদে দেশীয় পোশাক প্রসঙ্গে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করে জাভেদ কামাল বলেন, “ভারতের পোশাক অবৈধভাবে মার্কেটে আসছে। এটা গত বছর নতুনভাবে শুরু হয়েছে। অবৈধ পথে আসা এসব পোশাকের কোনো প্রকার ভ্যাট- ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না।”

জাভেদ আরও জানান, সরকারিভাবে শতকরা ৫ ভাগ বিদেশি পণ্য আসে। আর অবৈধভাবে আসছে ৯৫ ভাগ। এরা সরকারকেও ট্যাক্স প্রদান করছে না। ফলে সরকারও লাভবান হচ্ছে না। মাঝে কিছুটা তদারকি থাকলেও এবছর একেবারেই যেন কোনো তদারকি নেই। ফলে দেশীয় পোশাকের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা চলে আসছে।

“বিশেষ করে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে পাকিস্তানি ড্রেসের আধিপত্য। এ বছরও পাকিস্তানি ড্রেসে সয়লাব হয়ে গেছে মার্কেট। এছাড়া এসব পোশাক নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মাঠে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আবার অনুমতিও পেয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু আমাদের দেশেই সম্ভব।” বললেন জাভেদ।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশীয় প্রোডাক্টের উপর নানান ধরনের কর বসানো হয়। আমি মনে করি  প্রোডাক্টের মূল্য সংযোজন কর সব জায়গায় হওয়া প্রয়োজন।”

 “এ অবস্থা চলতে থাকলে শতকরা প্রায় ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ক্ষদ্র ব্যবসায়ীর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবার ঈদের ফ্যাশন ধারায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দেশি, আরামদায়ক, রুচিসম্মত পোশাকের দিকেই সবার বেশি আগ্রহ।

সাদাকালো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডিজাইনার তাহসিনা শাহীন বলেন, “পোশাকের ঐতিহ্যবাহী ধরণটাই থাকছে এবার। পাঞ্জাবি বা কামিজের দৈর্ঘ্য এবার একটু লম্বা হচ্ছে।”

এমদাদস কালেকশনের কর্ণধার এমদাদ হক বললেন, “ছেলেদের ফতুয়ার একচেটিয়া দাপট এবার কিছুটা কমেছে, বেড়েছে আনুষ্ঠানিক শার্টের গ্রহণযোগ্যতা। এছাড়া পাঞ্জাবিতে এসেছে নানামাত্রিক নকশার বিন্যাস-বৈচিত্র্য।

“ক্রেতার পছন্দ আর ডিজাইনারের ভাবনা— এ দুয়ের সমন্বয়েই বদলাচ্ছে পোশাকের ধারা।” বললেন দেশাল-এর কর্ণধার ও ডিজাইনার কনক আদিত্য।

এবার ঈদে দেশি ফ্যাশনে কোথাও কাপড়ের বুনন প্রাধান্য পেয়েছে, কোথাও নকশা।

রঙ-এর পরিচালক ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহার ভাষায়, “সব শ্রেণীর ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয় ঈদ আয়োজন।”

গত বছরের চেয়ে এবার মেয়েদের কামিজ ও সালোয়ারে বৈচিত্র্য এসেছে। কামিজের থ্রি-কোয়ার্টার হাতার ডিজাইন। নিরীক্ষা চলেছে দোপাট্টাতেও। ধুতির ১০টি আদলে তৈরি হয়েছে সালোয়ার। উৎসবের আমেজ আনতে পোশাকও করা হয়েছে জাঁকালো নকশা।

তবে মৌসুমের বিষয়টি মাথায় রাখার কথা বললেন বুটিক হাউজ বিবিয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিপি খন্দকার।

বাঙালির ফ্যাশনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গত এক দশকে বেশ কিছু দেশি পোশাক প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে তাদের সুনাম।

কে ক্র্যাফট

শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, কামিজ, কুর্তা, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট ও শিশুদের পোশাকসহ নানা উপহারসামগ্রী ও ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ এনেছে কে ক্র্যাফট। অলঙ্করণ আর নতুন কাটিংয়ের সঙ্গে পোশাকগুলোতে থাকছে নানান রং: উজ্জ্বল নীল, মেজেন্টা, বেগুনি, বাদামি, লাল, সি-গ্রিন, সবুজের নানান শেইড, নীলের নানান শেইড।

এড্রয়েট

বর্ষা ও গরম মাথায় রেখে সুতিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সব বয়সীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি রয়েছে শর্ট কামিজ। শর্ট পাঞ্জাবি ছাড়াও থাকছে লং পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট। বিভিন্ন কাজের এসব পোশাকের দাম পড়বে সুতি শাড়ি ৮৯০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সিল্ক শাড়ি ১ হাজর ৯শ’ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। জামদানি শাড়ি সাড়ে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার ৫শ’ টাকা। সালোয়ার-কামিজ সুতি সাড়ে ৯শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। সিল্ক ১ হাজার ৮৫০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। ফতুয়া সুতি সাড়ে ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা। সিল্ক ফতুয়া সাড়ে ৮শ’ থেকে ১ হাজার ২৮০। পাঞ্জাবি সুতি সাড়ে ৭শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা। পাঞ্জাবি সিল্ক ১ হাজার ৫৫০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। টি-শার্ট আড়াইশ থেকে সাড়ে ৯শ’ টাকা। শার্ট সাড়ে ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা।

ওয়েস্টরঙ

দেশের ফ্যাশন জগতের আধুনিক বৈচিত্র্য নিয়ে এবং হাল ফ্যাশনধারীদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ‘রঙ’ শুরু করল একটি নতুন উদ্যোগ, যার নাম ওয়েস্টরঙ। সবার জন্য দেশীয় পোশাকে ওয়েস্টার্ন ধাঁচের ছোঁয়া দেওয়া হয়েছে ওয়েস্টরঙের প্রতিটি পোশাকে। এবারের ঈদের ট্রেন্ডে কুর্তার চেয়েও র্শর্ট পাঞ্জাবি এবং লং পাঞ্জাবির প্রচলন বাড়বে। তাই কুর্তার চেয়েও ঝুল বাড়িয়ে র্শর্ট ফিটিং পাঞ্জাবি করা হয়েছে এবং লং পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে ঝুলে নতুনত্ব আনা হয়েছে। কাটিংয়ের ক্ষেত্রে সেরওয়ানি কাটের পাঞ্জাবি যেমন আছে, তেমনি নরমাল কলার, বেন্ড কলার পাঞ্জাবিও করা হয়েছে। এবার কিছুটা নতুনত্ব আনার জন্য পাঞ্জাবিতে মসজিদের আর্কিটেকচারাল ড্রইং, ক্যালিগ্রাফি, জ্যামিতিক ফর্মকে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য রঙয়ে রয়েছে গিফট ভাউচার।

যে কোনো শোরম্নম থেকে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের এসব ভাউচার ব্যবহার করে কেনা যাবে পছন্দসই সামগ্রী।

মুসলিম কালেকশনস।

মুসলিম কালেকশন

প্রয়োজন ও ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে একশত ভাগ সুতি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে তাদের শার্ট। কেরানীগঞ্জের জিলা পরিষদ মার্কেটের বিক্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল ফুলহাতা ও হাফহাতা শার্ট।

বাংলার মেলা

ঈদকে ঘিরে বাংলার মেলা সবার জন্য তৈরি করেছে নানান ডিজাইনের পোশাক। গরমের কারণে ফেব্রিক ও রংয়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এবার সুতির ব্যবহার থাকছে বেশি। পোশাক যেন আরামদায়ক হয় সে দিকটি লক্ষ রাখা হয়েছে।

জয়শ্রী সিল্ক, এন্ডি, কটন, খাদি তাঁতে নিজস্ব বুননে ডবি মাল্টি স্ট্রাইপ এসব মেটেরিয়ালে করা হয়েছে লং, মিডিয়াম ও শর্ট লেংথে ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি। দাম ৭৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা। চুড়িদার ও আলীগড় দুই ধরনের পাজামা বা ট্রাউজার পাওয়া যাবে।

পাঞ্জাবির সঙ্গে টুপির কালেকশন করা হয়েছে ঈদ ঘিরে। নকশি কাঁথা করা এসব টুপির দাম পড়বে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা। বিভিন্ন ধরনের হাফশার্ট, দাম ৬৫০- ১২৫০ টাকা।

অর্গানজা সিল্ক, এন্ডি, হাফসিল্ক, এন্ডি কটন ব্লেন্ড ও টাঙ্গাইল শাড়ি থাকছে এবারের কালেকশনে। দাম ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা। হাফসিল্ক শাড়িতে ব্লক, প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, কাঁথা ভরাট কাজের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে গ্লাস ও সিকোয়েন্স। দাম আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

সালোয়ার-কামিজে এবার থাকছে এন্ডিকটন, জয়শ্রী সিল্ক ও মিল খাদিতে উজ্জ্বল সব রংয়ের পাশাপাশি সফট টোনে সালোয়ার-কামিজে থাকছে কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজের সঙ্গে নানান ডিজাইনের মেটেরিয়ালের ব্যবহার। দাম: সুতি ১ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৬৫০ টাকা। এন্ডি ২ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।

মান্যবর

পাঁচ হাজার ডিজাইনের পাঞ্জাবি, যাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উৎসবের রং ও নকশা। এ ছাড়া ভারতের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে। প্রধান আকর্ষণ রাজস্থানীয় শাড়ি। পাবেন ধানমন্ডিসহ সব বিক্রয়কেন্দ্রে।

রঙ।

রঙ

বর্ষার বৈশিষ্ট্য ধারণ করে সাজিয়েছে এবারের ঈদ আয়োজন। সুতি কাপড় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উৎসবে অনেকেই জমকালো পোশাক পছন্দ করেন, সে ক্ষেত্রে ক্রেতাসাধারণের চাহিদা অনুসারে এন্ডি, এন্ডিসিল্ক, সিল্ক, জামদানি, মসলিন, রেশমি কটন, ধুপিয়ান কাপড়ের পোশাকে সাধারণ ও ভরাট নকশার সূক্ষ্ম কাজ করা হয়েছে।

চরকা

কাটিং ও প্যাটার্নের ভিন্নতা ব্যতিক্রমধর্মী প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবারের পোশাকগুলো। এ ছাড়া হোম টেক্সটাইলের নিয়মিত আয়োজনে যোগ হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইন। দাম ৪শ’ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

অঞ্জন’সের পোশাক।

অঞ্জন’সের যুগলবন্দি পোশাক।

অঞ্জন’স

সব বয়সীর জন্য পোশাকের পাশাপাশি হাতে তৈরি গয়না, উপহারসামগ্রী ও হোম টেক্সটাইল পাওয়া যাবে। পোশাকের ডিজাইনের রং, কাপড়, কাটিং ও নকশা— প্রতিটি বিষয়েই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রূপা ও মেটালে হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না করা হয়েছে। চুড়ি, কানের দুল, হাতের বিভিন্ন ধরনের গয়না থাকছে এই আয়োজনে। নতুন ধরনের স্টোনের ব্যবহার এসেছে হাতে তৈরি এসব গয়নায়। এ ছাড়া এবারের আয়োজনে ছেলে ও মেয়েদের স্যান্ডেল, বেল্ট, মানিব্যাগ, পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে মেয়েদের পার্টি ব্যাগ থাকছে। ঈদের দিনে ঘর সাজানোর জন্য কটন ও খাদি কাপড়ে বেডশিট, কুশন কভার, পর্দা, ডাইনিং সেট, কিচেন সেট থাকছে। স্ক্রিনপ্রিন্ট ও ব্লকপ্রিন্ট নির্ভর এই হোমটেক্সটাইলেও ডিজাইনের ভিন্নতা রয়েছে।

এছাড়া যারা বর্ণিল রঙে যুগপৎ রাঙাতে চান অঞ্জন’স তাদের জন্য এনেছে যুগলবন্দি ডিজাইনার কালেকশনস। এতে পরিবারের সকলের উপযোগী করে পোশাকের উপস্থাপনায় আনা হয়েছে মেলবন্ধন।

সুইসুতা।

সুইসুতা

নতুন ডিজাইন ও স্টাইলের বেশ কিছু পাঞ্জাবির আয়োজন করেছে এই ঈদে। এছাড়া আছে ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, ভি-নেক, পোলো-শার্ট, পায়জামা, ফতুয়া এবং হ্যান্ড প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট ও মোটিফের পাঞ্জাবি।

রয়েছে বাচ্চাদের টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ফতুয়া, থ্রি-পিস, টু-পিস ইত্যাদি। তাতেঁর তৈরি, সুতি, স্লাব, সিল্ক খাদি কাপড়ে তৈরি এসব পোশাকের মূল্য বেশ সহনীয়। মাত্রায় রয়েছে। রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেট ছাড়াও  জাহানারা শপিং কমপ্লেক্স কোনাপাড়া, শহীদ ফারুক সড়ক যাত্রাবাড়ী এবং গুঠীয়া ব্রিজ বাবুগঞ্জ বরিশালে তাদের শাখা রয়েছে।

আবর্তন

আবর্তন।

তারা এনেছে খানিকটা লম্বা লেন্থে স্লিমফিট ট্রেন্ডি সালোয়ার কামিজ। নেক লাইন ও ওড়ানাতে ভেরিয়েশন করা হয়েছে। কাপড় ও রংয়ে ফেস্টিভমুড ও ডিজাইন ভেরিয়েশন করা হয়েছে গরমে আরামে পরার উপযোগী করে। আবর্তনের পাঞ্জাবি ও ছোটদের পোশাকের পাশাপাশি থাকছে মসলিন ও কটন শাড়ির বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ। ব্লক, ‌অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি প্রাধান্য পেয়েছে শাড়ি বা পোশাকের ক্যানভাসে। পাওয়া যাবে তাদের শুক্রাবাদ, ওয়ারি, মিরপুর ও মালিবাগ বিক্রয়কেন্দ্রে।

ক্যাটস আই

ক্যাটস আই।

এবার ঈদে সিম্পল প্যাটার্ন ভেরিয়েশনে থাকছে ছেলে ও মেয়েদের পোশাক। রংকে প্রাধান্য দিয়ে ফেস্টিভ কেন্দ্রিক ভ্যালু এডিশন থাকছে পোশাকে। গতানুগতিক প্যাটার্ন ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আনা হয়েছে স্মার্ট এন্ড ট্রেন্ডি লুক। ডিজাইনেও থাকছে বৈচিত্র্য।

পাশাপাশি ঘরের বাইরে ব্যস্ত নারীদের জন্য আছে এলিগেন্ট আউটফিট। এছাড়া কো ব্র্যান্ড মুনসুন রেইন ও আনলিমিটেড-এ থাকছে শুধুই পুরুষদের জন্য ঈদ উপযোগী ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্টিং ও স্যুটিং। পাশাপাশি তাদের বিক্রয়কেন্দ্রে ট্রেন্ডি ফ্যাশন এক্সেসরিজও থাকছে। ভ্যালুড ক্রেতাদের জন্য ভিসা বা মাস্টার কার্ডে থাকছে সর্বোচ্চ ১০% বাড়তি মূল্যছাড়ের সুবিধা।