চোখের কাজল মানেই যেন ‘কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ’। তবে দিন বদলেছে এখন ‘কাজল’ মানেই ‘কালো’ নয়। চোখ রাঙাতে এখন চলছে রঙিন কাজলের ব্যবহার।
Published : 31 Mar 2014, 06:12 PM
এই সময়ে সাধারণত পোশাক বা শাড়ির রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নারীরা কাজলের রং ব্যবহার করে থাকেন। চোখে কীভাবে কী রকম কাজল ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
চোখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে একটুখানি কাজলের রেখা ঠিকঠাকভাবে চোখে টেনে নিতে পারলে সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়। প্রত্যেকের চোখের আকৃতি আলাদা আলাদা হয়। কারো চোখ ছোট আবার কারো চোখ বড়। কারো চোখ টানাটানা আবার অনেকের চোখ ভাসাভাসা। চোখের পাপড়িতেও থাকে ভিন্নতা। তাই কাজল লাগানোর আগে অবশ্যই চোখের ভাষা বুঝতে হবে।
ঠিকভাবে কাজলের ব্যবহার আপনার চোখের অনেক খুঁত অনায়াসেই ঢেকে দিতে পারে। শুধু কাজলেই চোখের সাজ সম্পূর্ণ হয় না, প্রয়োজন অনুযায়ী আইল্যাশ ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে মাসকারা অবশ্যই লাগবে। এছাড়াও কাজলকে আরও আধুনিক করতে ব্লেন্ড গোল্ডেন অথবা সিলভার আইশ্যাডো দিয়ে হাইলাইট করুন। এরপর পছন্দের যে কোনো রংয়ের কাজল নিয়ে চোখের ভেতর থেকে চোখের বাইরে পর্যন্ত টেনে দিন।
সব সময় চোখের ভেতরের অংশ থেকে শুরু করে লাইন টেনে চোখের বাইরের অংশে ধীরে ধীরে রেখাটা মোটা করতে হবে। চোখের নিচের পাতার কোণের সঙ্গে কাজল টেনে ওপরের অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিন।
অনেকেরই চোখ ভেতর দিকে থাকে। তাদের চোখে ভাসাভাসা ভাব আনতে আঙুল দিয়ে চোখের কাজল লাগানোর পর আলতোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। চোখে নমনীয়তা ও সজীবতা দুটোই ফিরে আসবে। এরপর ব্যবহার করুন মাসকারা। আর কিছু দরকার নেই। এভাবেই মনের মাধুরী মিশিয়ে চোখ আকর্ষণীয় করে তুলুন।
আজকাল নানান ব্র্যান্ডের কাজল পাওয়া যায়। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পছন্দ থাকতে পারে। যে রকমই নিন সমস্যা নেই, শুধু ভালো মানের কাজল ব্যবহার করুন। কারণ চোখ খুবই স্পর্শকাতর। তাই কাজল ব্যবহারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
অবশ্যই পানিরোধক কাজল ব্যবহার করুন। নয়তো অনেক সময় কাজল লেপটে গিয়ে মেইকআপের বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই খুবই সচেতনভাবে কাজল পরতে হবে। যদি হাতের কাছে ওয়াটারপ্রুফ কাজল না থাকে তবে যে কোনো কাজল ব্যবহার করে তাতে একই রংয়ের আইশ্যাডো দিয়ে একটু ব্লেন্ড করে দিন। তাহলেই অনেকক্ষণ কাজল সুন্দর থাকবে। লেপটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।