ত্বক মসৃণ ও ফুসকুড়ি মুক্ত রাখতে

বর্ষাকালে ত্বকে চুলকানি, ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 09:07 AM
Updated : 16 July 2017, 09:10 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে সেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের নিয়ম এখানে দেওয়া হল।

নিম: প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করার যোগ্য উপাদান রয়েছে নিমে। তাই ফুসকুড়ি, একজিমা, ব্রণ ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে এটি অত্যন্ত উপকারী। নিম থেতলে পেস্ট বানিয়ে বা নিমযুক্ত সাবান কিংবা তেল ব্যবহারে উপকার মিলবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।

বেইকিং সোডা।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:
এলার্জি, শুষ্ক ত্বক, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা তাড়াতে এটি বেশ উপকারী। ত্বকের চুলকানি আক্রান্ত অংশে এক চা-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মাখিয়ে রাখতে পারেন। এতে আছে অ্যান্টি-সেপটিক ও ছত্রাক সংক্রমণ রোধকারী গুণ। এছাড়াও ত্বকের অম্লীয় মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং আর্দ্রতা বাড়াতেও উপকারী অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।

বেইকিং সোডা: চুলকানি ও ফুসকুড়ি সারানোর জন্য কার্যকর। এক বালতি পানিতে এক কাপ বেইকিং সোডা গুলিয়ে আধা ঘণ্টা শরীর ভিজিযে রাখলে উপকার মিলবে।

ওটমিল: ওটমিল মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে একজিমা ও ‘সোরিয়াসিস’ বা ফুসকড়িজনীত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। কারণ এতে আছে ময়েশ্চরাইজিং ও প্রদাহরোধী উপাদান। গোসলের পানিতে কয়েক কাপ ওটমিল মিশিয়ে তাতে আধা ঘণ্টা শরীর ভিজিয়ে রাখতে হবে।

অলিভ অয়েল: ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই তেল, যা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়, ক্ষয়পূরণ করে এবং ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি চুলকানিও সারায়।

অলিভ অয়েল।

অ্যালোভেরা।

অ্যলোভেরা:
র‌্যাশ ও চুলকানি থেকে বাঁচতে আক্রান্ত অংশে তাজা অ্যালোভেরা ২০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে পারেন। অ্যালোভেরায় আছে প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ রোধকারী গুণাগুণ।

ধনেপাতা: ফুসকুড়ি ও চুলকানির আয়ুর্বেদিক সমাধান ধনেপাতা। ধনেপাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকের আক্রান্ত অংশে এক ঘণ্টা মাখিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সদ্য তৈরি ধনেপাতার সরবত পান করলেও উপকার পাবেন।

ছবি: রয়টার্স ও নিজস্ব।