ঘামাচি দূর করতে

গরমের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। সমাধানের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক পন্থা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2017, 12:00 PM
Updated : 7 May 2017, 12:02 PM

স্বাস্থবিষয়ক একট ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘামাচি বা গরমের কারণে ফুসকুড়ি হওয়ার প্রধান কারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপে আটকে পড়া ঘাম। সমস্যা দূর করার জন্য রয়েছে ঘরোয়া উপায়।

ছোলার ময়দা ও গোলাপ জল: ঘামাচির চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেয় ছোলার ময়দা। আর ত্বক মসৃণ ও সতেজ করে গোলাপ জল।

একটি পাত্রে দুতিন টেবিল-চামচ ছোলার ময়দা নিয়ে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। ঘামাচি হওয়া অংশে এই মিশ্রণ প্র্রতিদিন ১৫ মিনিট মেখে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মুলতানি মাটি ও টক দই: ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটি ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। আর টক দই ত্বকের জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি দূর করে। আর এই দুইয়ে মিলে খুলে দিতে পারে বন্ধ হওয়া লোমকুপ।

এজন্য দুই টেবিল-চামচ টক দই ও চার টেবিল-চামচ মুলতানি মাটি একটি পাত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। আক্রান্ত অঞ্চলে এক দিন পর পর ২০ মিনিট ধরে মাখিয়ে রাখতে হবে।

তরমুজ: গ্রীষ্মের তাপ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে তরমুজ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীন দুই দিকে থেকেই উপকারী। শুধু খেয়ে নয়, মেখেও শান্তি এই ফল।

অর্ধেকটা তরমুজের বীজ ফেলে হালকা করে থেতলে ভর্তা বানিয়ে নিতে হবে। ঘামাচি বা ফুসকুড়ি হওয়ার জায়গায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাখিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।

ধনেপাতা ও চন্দন: ধনিয়াতে থাকে জীবাণুনাষক উপাদান আর চন্দন দূর করে ঘামাচির জ্বালাভাব ও চুলকানি। একমুঠ শুকনা ধনেপাতা, এক টেবিল-চামচ চন্দনগুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঘামাচি হওয়া অংশে প্রতিদিন একবার মেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মেহেদির গুঁড়া: এর প্রাকৃতিক ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ উপাদানে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী ও শীতলকারী উপাদান। তিন থেকে চার টেবিল-চামচ মেহেদির গুঁড়া কয়েক ফোঁটা ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির উপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাখিয়ে ধুয়ে ফেলুন।