ঝরনা থেকে বয়ে আসা ঝিরির পুরোটা পথ সবুজ আবরণে ঢাকা। কোথাও কোমর পানি, কোথাও বুক পানি ঢেকে রেখেছে নিচের পাথর। এর উপর দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ দেখা যাবে জঙ্গলে ঢেকে পুরো ঝিরির পথ।
ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে প্রায় লাগোয়া দুটো পাথুরে পাহাড়। এ যেন আরব্য উপন্যাস 'আলীবাবা'র জাদুকরী দরজার মতো পাথুরে পাহাড়ের দরজা পেরিয়ে অবশেষে ঝরনা দর্শন।
দুদিক থেকে আসা দুটি ঝরনার ধারা নেমেছে একই খুমে। এমন ঝরনা পাহাড়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। পুরো ট্রেইল যেন ছবির মতো।
সবুজ পাহাড়ের বুক চিড়ে বের হয়ে যাওয়া বয়ে যাওয়া ঝিরির পথে পথে বাসা বেঁধেছে হাজারও মাকড়সা।
তোজেংমা’র সবচেয়ে সুন্দর রূপ হল দুই ঝরনা একই খুমে এসে পড়েছে। এই পথে পথে যেতে দেখবেন পাহাড়ের ঢেউ।
রৌদ্রময় আকাশে নীল রংর ছড়াছড়ি। সূর্যের খরতাপ মাথার নিয়ে পাহাড়ি আদিবাসীরা বুনন করছে জুমের ক্ষেতে। এ শুধু সাধারন জুম চাষ নয়। সার বছরের স্বপ্ন বুনন হয় পাহাড়ে খাঁজে খাঁজে। দুর্গম পাহাড়ে আদিবাসীদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায় জুমচাষ।
পাথুরে পাহাড় ছাড়িয়ে সামনে যেতেই দৃষ্টি আটকাবে ঝরনায়। পাহাড় বেয়ে নিরন্তর পানির স্রোত নামছে। বুনো পথে পাহাড়ি ঝরনা তোজেংমা।
প্রয়োজনীয় তথ্য: দিঘীনালা থেকে সরাসরি মোটরবাইকে যেতে হবে আলমগীর টিলা পর্যন্ত। বাকি পথ হাঁটতে হবে (ট্রেকিং)।
পাহাড়ি পথ বলে অবশ্যই গাইড নিয়ে যেতে হবে। তোজেংমা ঝরনায় ভ্রমণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় ভ্রমণ সংস্থা- সিএইচটি ট্রাভলস ০১৮১৫-৮৫৬৪৯৭, ০১৫৫৬-৭১০০৪৩।
ছবি: লেখক।