রং ফর্সা করার ক্রিম বা প্রসাধনীতে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে যা ত্বকের উপকারের বদলে ক্ষতিই করে থাকে বেশি।
Published : 26 Oct 2015, 04:08 PM
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু প্রসাধনীর নাম উল্লেখ করা হয় যেগুলোর মূলত তেমন বাড়তি কোনো উপকারিতা নেই।
সাবান
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান ব্যবহৃত হয়। তবে সাবান পরিষ্কারের তুলনায় ত্বকের ক্ষতিই করে বেশি। এতে রয়েছে সোডিয়াম লোরেল সালফেট, যা ত্বকে অস্বস্থি তৈরি করতে পারে। তাছাড়া এই উপাদানের কারণে ত্বকের বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে। তাই পরিষ্কারের জন্য গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
আই ক্রিমে এমন কিছু কেমিকল ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা থেকে জ্বলুনি, পানি আসাসহ ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। এর থেকে চোখের ফোলাভাব, কালি ও বলিরেখা দূর করতে আই ক্রিমের বদলে ঠাণ্ডা পানি বা ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ঠান্ডা করে চোখের উপর দিয়ে রাখতে হবে। এতে চোখের ফোলাভাব কমবে ও চোখের অন্যান্য সমস্যা দূর হয়।
হেয়ার ডাই
হেয়ার ডাইয়ে ব্যবহৃত কেমিকল ব্লাডার ক্যান্সার-সহ নানারকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চুল রাঙাতে কেমিকলযুক্ত রং ব্যবহার না করে বরং মেহেদি ও চা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উপাদানগুলো প্রাকৃতিকভাবে চুল রাঙাতে সাহায্য করে।
সুগন্ধি
চুল সোজা করা
চুল স্ট্রেইট করার জন্য ব্যবহৃত হয় প্রচুর পরিমাণে কেমিকল। যা ক্যান্সার, চোখের দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ফেলাসহ চুলও নষ্ট করে দিতে পারে। কেমিকল ট্রিটমেন্টের বদলে ঘরোয়া উপায়ে চুল সুন্দর করার পন্থাগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া মাঝে মধ্যে চুল সোজা করাতে হেয়ার স্ট্রেইটার ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্প্রে জেল, মুজ বা হেয়ার সিরাম
হেয়ার স্প্রে, জেল, মুজ বা সিরামে প্রচুর অ্যালকোহল, সিলিকন ইত্যাদি কেমিকল থাকে যা চুলের নমনীয়তা নষ্ট করে চুল রুক্ষ করে ফেলে। এতে চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই চুলের এলোমেলোভাব দূর করতে প্রাকৃতিক তেল, যেমন- নারিকেল তেল বা বাদাম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিছু শ্যাম্পুতে প্রচুর পরিমাণে কেমিকল থাকে যা চুল পরিষ্কার করার পাশাপাশি চুলের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে ফেলে। যা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে চুল পরিষ্কার করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, এসএলএস ফ্রি শ্যাম্পু, শিকাকাই ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
দোকান থেকে কেনা ফেইস মাস্ক
দোকানে যে সব ফেইসমাস্ক পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম কেমিকল ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। তাই রূপচর্চা ও ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি ফেইসমাস্কই বেশি উপকারী।
ত্বকের খোলা লোমকূপ সংকুচিত করে ত্বক টানটান করতে কার্যকর টোনার। আর এর কার্যকারিতা বাড়াতে প্রচুর অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় যা ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। তাই টোনারের বদলে গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে।
লিপবাম
লিপ বামে থাকা সুগন্ধি, মেন্থল, অ্যালকোহল ইত্যাদি উপাদান ঠোঁট নমনীয় না করে উল্টা শুষ্ক করে তুলতে পারে। তাই ঠোঁট কোমল রাখতে লিপবামের বদলে অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল, ঘি ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবি: রয়টার্সও নিজস্ব।