সবুজ বাঁশপাতি

আমাদের দেশে অনেক রকম বাঁশপাতি দেখা গেলেও, আমার চোখে পড়েছে চার প্রজাতির-- সবুজ বাঁশপাতি, নীলদাঁড়ি বাঁশপাতি, খয়রামাথা বাঁশপাতি, নীললেজা বাঁশপাতি।

>> শহীদুল ওয়াহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2014, 12:25 PM
Updated : 2 April 2014, 12:25 PM

সবুজ বাঁশপাতি বাংলাদেশে লভ্য একটি ছোট আকারের পাখি। এর ইংরেজি নাম- Green Bee-eater; বৈজ্ঞানিক নাম- Merops Orientalis। অঞ্চলভেদে এর নাম ভিন্ন। কোনো স্থানে ‘সুইচোরা’, কোনো স্থানে ‘নরুন চেরা’ প্রভৃতি নামে পরিচিত। এরা তীক্ষè শব্দ করে ডাকে। এ ডাকের শব্দ ‘ট্রিউ...ট্রিউ’। এরা পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। বাঁশপাতি পতঙ্গ ধরার কৌশল বেশ চমকপ্রদ। উড়ে গিয়ে খপ করে ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে গিলে ফেলে। লোকালয়ের কাছাকাছি বৈদ্যুতিক তারে ও বাঁশের কঞ্চিতে বসে থাকতে এদের দেখা যায়।

পাখিটি লম্বায় প্রায় ৮ ইঞ্চি। লম্বা সবুজ বাঁশপাতির গড়ন ছিপছিপে। এর গায়ের রং উজ্জ্বল সবুজ। এর মস্তক ও পৃষ্ঠদেশের উপরাংশে রয়েছে সোনালি রংয়ের পালক। উজ্জ্বল তামাটে রংয়ের ডানার নিম্নভাগ দেখতে দারুণ। সবুজ বাঁশপাতি কৃষ্ণবর্ণ চঞ্চুটি একটু বাঁকানো। চোখের দুপাশে কাজলরেখা, যা ঘাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। চিবুক ও গলায় রয়েছে নীল ছটা আর গলার নিচে রয়েছে মালার মতো কালো টান। এই পাখির পায়ের রং কালচে। লক্ষণীয় যে সবুজ বাঁশপাতির লেজের মধ্য বরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত। বাঁশপাতি গাছে বাসা বানাতে জানে না। এরা নদীর তীরে খাড়া জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। শীতের শেষে প্রজনন মৌসুমে গর্তের গভীরে স্ত্রী পাখিটি ৫টি থেকে ৭টি সাদা রংয়ের ডিম পাড়ে। স্ত্রী-পুরুষ মিলেই ডিমে তা দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ২১ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে।