কারারক্ষীরাও তার জ্ঞানে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।
সেদিন ছিল শুক্ল তিথি মাসটা ছিল আষাঢ়,
ভরসন্ধ্যায় বিল্টু গেল একটু দূরে বাসার।
হঠাৎ দেখে পেত্নিবুড়ি মনেরই আহ্লাদে,
জারুলগাছের তলে বসে কী যেন সব রাঁধে--
শুক্ত দিয়ে পিঁপড়ের ঝোল, দোক্তা পাতার বড়ি,
পাতায় মোড়া গুবরেপোকা, ফড়িং-চচ্চরি।
মুচমুচে এক কাঁকড়া ভাজে, সঙ্গে কোলাব্যাঙ
চুতরাপাতার সবুজ রসে তেলাপোকার ঠ্যাং।
রাঁধছে আর বাঁধছে ছড়া-- নাকি সুরে হাসে,
এসব দেখে ছুট লাগাল বিল্টু উর্ধশ্বাসে।
পেছন পেছন দৌঁড়ে এসে বলল-- “এঁসঁব খাঁনাঁ,
তোঁর জঁন্যঁই রাঁধছিঁ আঁমিঁ এঁকটুঁ খেঁয়েঁ যাঁ নাঁ।”